অনলাইন ডেস্ক
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম এমন উত্তাপ ছড়ালেও বিপাকে রয়েছে দেশের স্বর্ণশিল্পী ও অলঙ্কার ব্যবসায়ীরা। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় একদিকে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, অন্যদিকে করোনার কারণে স্বর্ণের অলঙ্কার বিক্রি আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। ফলে অনেকটাই আয়হীন হয়ে পড়েছেন অলঙ্কার ব্যবসায়ীরা। বিক্রি না থাকায় স্বর্ণশিল্পীরা বেকার সময় কাটাচ্ছেন।
দেশের স্বর্ণের অলঙ্কার ব্যবসায়ী ও শিল্পীরা বলছেন, করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই স্বর্ণের অলঙ্কার বিক্রি একপ্রকার বন্ধই হয়ে গেছে। এর মধ্যে ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এ সময় ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সাধারণ ছুটির পর ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান খুললেও অলঙ্কার বিক্রি হচ্ছে না।
তারা বলছেন, বছরের সব থেকে বেশি স্বর্ণের অলঙ্কার বিক্রি হয় রোজার ঈদ, পূজা ও নতুন ধান ওঠার পর। এবার সবকিছু করোনার মধ্যে পড়ে গেছে। করোনার কারণে মানুষ ঘর থেকে কম বের হওয়ার কারণে রোজার ঈদে বিক্রি একেবারেই ছিল না। আবার নতুন ধান ওঠার পরও স্বর্ণের অলঙ্কারের চাহিদা ছিল না।
দেশের বাজারে স্বর্ণের অলঙ্কার বিক্রি না হলেও বিশ্ববাজারে চলতি বছরের শুরু থেকেই স্বর্ণের দাম বাড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ হয় আউন্স হিসাবে। এক আউন্স স্বর্ণ ৩১ দশমিক ১০৩ গ্রামের সমান। গত বছরের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১৪৫৪ ডলার। এরপর করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬০ ডলারে উঠে যায়। তবে মার্চে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে এক ধাক্কায় প্রতি আউন্স ১৪৬৯ ডলারে নেমে আসে।
এ পতন ঠেকিয়ে স্বর্ণের দাম ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় নেয়নি। মে মাসে প্রতি আউন্স স্বর্ণ ১৭৪৮ ডলারে উঠে যায়। এরপর থেকে দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। তবে চলতি সপ্তাহে সেই দাম বাড়ার পালে আরও হাওয়া লেগেছে। জুন মাসে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৮০০ ডলারের কাছাকাছি ঘুরপাক খেতে থাকে। জুলাই মাসে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৮০০ ডলারে উঠে যায়। তবে চলতি সপ্তাহের আগ পর্যন্ত স্বর্ণের দাম ১৭৯০ থেকে ১৮১০ ডলারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা