অনলাইন ডেস্ক
অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচিব হাবিবুর রহমান বলেছেন, কোভিড-১৯ রোগীদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই, কেননা এই বিল সরকার মেটাবে।
তবে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য ‘ডেডিকেটেড’ হাসপাতাল হিসেবে আর নেই।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সাইফুল নামে ওই রোগী আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালেই আটকে ছিলেন।
রাজধানীতে যে ১৩টি সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল কোভিড-১৯ চিকিৎসা দিচ্ছে, তার মধ্যে ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন একটি।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সরকার কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালেও রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়। এজন্য গত ২০ থেকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল ‘কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড’ হাসপাতাল হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। এখানে ২০০ কোভিড-১৯ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার সুবিধা রয়েছে।
২৩ মে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সাইফুল। বেসরকারি এই চাকরিজীবী থাকেন মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায়।
সাইফুল বলেন, একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষায় গত ২১ মে তার করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। হৃদস্পন্দন বেশি থাকায় ২৩ মে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
“কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা ফ্রি করে দিয়েছে সরকার, এটা জেনে এখানে ভর্তি হয়েছিলাম, এখন অনেক বেশি টাকা দাবি করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ,“ বলেন তিনি।
সাইফুল জানান, ভর্তি হওয়ার পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তার রক্তের দুটি পরীক্ষা করেছে, তিনটি এক্সরে করেছে। আর হাসপাতাল থেকে শুধু নাপা ট্যাবলেট সরবরাহ করেছে।
“আমার কোনো অক্সিজেনেরও প্রয়োজন হয় নাই। কোনো অপারেশন লাগে নাই। কিন্তু এত টাকা বিল করে দিয়েছে। আমি এত টাকা এখন কোথা থেকে দেব।”
ওই রোগীর বিলে দেখা গেছে, ২ জুন পর্যন্ত চিকিৎসকের বিল ১৮ হাজার ৭০০ টাকা, হাসপাতাল বিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৭০ টাকা, পরীক্ষার বিল ১৯ হাজার ৪৭৫ টাকা, ওষুধের বিল ৫ হাজার টাকা। ১২ হাজার ৯০৩ টাকা সার্ভিস চার্জও এর সঙ্গে যোগ হয়েছে।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা