অনলাইন ডেস্ক
তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা বিভাগের সমন্বয়ক সালমান খান ইয়াসিন। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ক্যাম্পেইন শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘বিদ্যানন্দ’ এর চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকছেন কিশোর কুমার দাস।
কিশোর কুমার দাস স্বেচ্ছাসেবী এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
হঠাৎ করে কিশোরের পদত্যাগপত্র জমা দেয়াসহ প্রতিষ্ঠানটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ বিষয়টি স্ট্যাটাস দিলে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে হইচই পড়ে যায়।
তবে এরইমধ্যে জানা গেল কিশোর কুমারের সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কমিটির সদস্যরা।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকালে প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা বিভাগের সমন্বয়ক সালমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, কিছু সংগঠন আর ফেসবুকে কারও কারও নেতিবাচক মন্তব্যে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন আমাদের চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস।
তিনি হঠাৎ করে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু আমরা কেউই তার তার এই সিদ্ধান্তে রাজি নই। তিনি আপাতত চেয়ারম্যানের পদে বহাল থাকছেন।
করোনা সংকট শেষ হলে এ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানান তিনি।
সালমান আরও বলেন, কিশোর কুমার দাস প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে গেলে যোগ্য কাউকে না পেলে পদটি শূন্য থাকবে।
প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজেও এ সংক্রান্ত পোস্ট দেয়া হয়েছে।
সেখানে লেখা হয়েছে, কোভিড-১৯ ক্যাম্পেইন ফোকাস রাখতে নির্বাহী কমিটির সদস্যরা কিশোর দাসের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি। কিশোর কুমার দাশ এখনও চেয়ারম্যান পদে আছেন এবং সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। যতদিন বিদ্যানন্দ থাকবে তিনি আমাদের প্রতিষ্ঠাতা এবং পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবেন।
উল্লেখ্য, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকল্প ‘এক টাকার আহার’। ২০১৬ সালে এই প্রকল্পটি শুরু হয়। এক টাকার বিনিময়ে অসহায় পথশিশুরা এই খাবার পায়। পরে তাদের কর্মকাণ্ড আরও বিস্তৃত হয়।
বর্তমানে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, রাজশাহী, কক্সবাজারসহ মোট ১৩টি শাখা রয়েছে বিদ্যানন্দের। এছাড়া তাদের পাঁচটি স্কুলে একাডেমিক শিক্ষা পাচ্ছে এক হাজারেরও বেশি শিশু। তাদের ছয়টি অনাথ আশ্রমে রয়েছে ৪৫০ জনের বেশি শিশু।
চলমান করোনাকালেও দেশের নিম্নআয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
বিদ্যানন্দ নিজেদের বাসন্তী গার্মেন্টসে পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই)
বানিয়ে বিনামূল্যে ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরবরাহ করেছে।
মসজিদ, হাসপাতাল, বাস, রেলস্টেশনের মতো জায়গাগুলো যেখানে জনসমাগম বেশি হয়, ভাইরাস সংক্রমণ ঘটাতে পারে, সেখানে জীবাণুনাশকও ছিটিয়েছে।
মানুষের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করে দিতে রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, গুলশান, শাহবাগসহ বিভিন্ন স্থানে বসিয়েছে অস্থায়ী হাত ধোয়ার বেসিন।
রমজানে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন বিভিন্ন এলাকায় দুস্থ পরিবারগুলোকে ইফতার ও সেহেরি দিচ্ছে।