রাজধানীর হাতিরঝিলে খালের ওপর অবৈধভাবে গড়ে তোলা বিজিএমইএ ভবন ভাঙা শুরু হবে আজ বুধবার। ঠিকাদারি কম্পানি ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজ ভবন ভাঙার কাজ শুরু করবে।
মন্ত্রণালয় ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের।
গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় ও রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আলোচিত এই ভবন ভাঙা হবে সনাতন পদ্ধতিতে। ভবন ভাঙার পর লোহা, কাচ, সিলিংসহ সব সামগ্রী নিয়ে নেবে ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজ। বিনিময়ে তারা রাজউককে এক কোটি দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করবে। এ ছাড়া ভবন ভাঙার পর সব বর্জ্য ফোর স্টার গ্রুপ নিজ দায়িত্বে সরাবে।
রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী (বাস্তবায়ন) রায়হানুল ফেরদৌস বলেন, ভাঙ্গার কাজ দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হবে। কাজ সরেজমিনে দেখার জন্য মন্ত্রী ও রাজউকের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজ ভবন ভাঙার কাজ করবে।’
এদিকে ভবন ভাঙার কাজ শুরু করার বিষয়ে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি এখনো। তবে ভবনটি সরাতে সংগঠনটির কোনো আপত্তি নেই বলে জানা গেছে।
বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ‘ভবন সরানোর কাজ শুরু করার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে ভবন ভাঙতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
জানা গেছে, বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে আদালতের রায়ের পর গত বছরের ১৭ এপ্রিল উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করেছিল রাজউক। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল মোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়ে।
ভবনটি ভাঙতে সালাম অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি কম্পানি সর্বোচ্চ এক কোটি ৭০ লাখ টাকা রাজউককে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু পরে ভবনটি ভাঙতে অনাগ্রহ দেখালে প্রতিষ্ঠানটির জামানত বাতিল করে রাজউক।
পরবর্তী সময়ে ভবনটি ভাঙতে দ্বিতীয় দরদাতা হিসেবে ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে চুক্তি করে রাজউক। কম্পানিটি এক কোটি দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা রাজউককে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়।
বিনিময়ে বিজিএমইএ ভবনের দুটি বেইসমেন্টসহ ভবনের সব সামগ্রী নিয়ে নেবে তারা।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা