রাজশাহী সীমান্ত থেকে ৫ জন বাংলাদেশীকে ও আজ কুড়িগ্রামের রৌমারি সীমান্তে গুলি করে আহত করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সার্বভৌমত্ব লংঘন করে এদেশে ঢুকে নাগরিকদের সীমান্ত থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিএসএফ। যা খুবই উদ্বেগজনক। ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসেই ওরা ১৫জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ভারতের বৈরী আচরণ বাংলাদেশী জনগনকে আতংকগ্রস্ত’ করে তুলছে।
তিনি বিএসএফ এর আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, সীমান্ত হত্যা, সার্বভৌমত্বের লংঘন বন্ধ করতে হবে। ফেলানী হত্যার বিচার ত্বরান্বিত করতে হবে। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ভারতের আগ্রাসী মনোভাব, পানির ন্যায্য অধিকারের পাওনা আদায়ে, সীমান্তদিয়ে অস্ত্র ও মাদক প্রেরণ বন্ধ এবং নারী-শিশু-মানব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাচার বন্ধে সোচ্চার হতে হবে।
তিনি বলেন, ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবাধে প্রচারের সুযোগ নিয়ে যা খুশি তাই প্রচার করে আমাদের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও ঐতিয্য ধ্বংস করছে। ইদানিং ভারত বাংলাদেশ থেকে তাদের দেশে জঙ্গি ঢুকছে বলে যে মিথ্যা প্রচার করছে তা খুবই ন্যাক্কার জনক। সরকারের নির্লিপ্ত আচরণ ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ভারতের সকল কর্মকান্ডের সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রোধকরে দেশের স্বাধীনতা রক্ষাকরতে হবে ।
তিনি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা সরকার,বুদ্ধিজীবীদের ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির নিশ্চুপ থাকায় বিস্ময় প্রকাশ ও সমালোচনা করে বলেন, সরকার ও বুদ্ধিজীবীদের মৌনতা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অর্থহীন করে বাংলাদেশকে নব্য সিকিমে রূপান্তর করবে। এখনই দেশপ্রেমের পরিচয় দেয়ার সময়। নচেৎ সর্বনাশ হয়ে যাবে। নেহেরু ডকট্রিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য চরম হুমকি।
তিনি অবিলম্বে বিএসএফ কর্তৃক তুলে নেয়া ৫জন বাংলাদেশীকে মুক্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা