অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপি এবং তার দোসররা যে জড়িত এটি সহজেই অনুমেয় বলে মন্তব্য করেছেন তথমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালোভাবেই জানে অতীতে কারা এভাবে বাস পুড়িয়েছে, কিভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে। শত শত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। পুলিশের তদন্তে দেখা গেছে, ২০১৩-১৪ সালে যেভাবে বাসের মধ্যে যাত্রীবেসে উঠে বাসে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, গতকাল যে কয়েকটি বাসে পোড়ানো হয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে ওই সময়ের মিল আছে।’
‘গতকাল প্রথম বাসটি পোড়ানো হলো নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে। এটি একটি সরকারির প্রতিষ্ঠানের বাস। এই ঘটনার সঙ্গে বিএনপি এবং তার দোসররা যে জড়িত এটি সহজেই অনুমেয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকদিন ধরে বলে আসছিলাম দেশের এই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার জন্য একটি মহলের অপতৎপরতা রয়েছে। সেজন্য আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা আমরা তথ্য বিবরণী প্রচার করেছিলাম। কালকে এর বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখতে পেলাম।’
‘প্রকৃতপক্ষে দেশের যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে এবং সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করোনা মোকাবিলা করে আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব। যা সবখানে প্রশংসিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গতকাল বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।’
যেকোনো ধরনের নাশকতা সরকার কঠোর হাতে দমন করতে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। এতে কোনো লাভ হবে না। সরকার অতীতে যেমন নাশকতা কঠোর হাতে দমন করেছে, এবারও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর হাতে দমন করতে বদ্ধ পরিকর।’
‘জনগণকে আহ্বান জানাব, এই ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য এবং সন্দেহজনক কাউকে দেখলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আনুন।’