অনলাইন ডেস্ক
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কলাবাগান থানাধীন কাঁঠালবাগান ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ১৬৩ নম্বর বাসার ৯তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন তিনি।
সংকটাপন্ন অবস্থায় আসিফকে উদ্ধার করে প্রথমে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আসিফের বাবা অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম ১৯৮৬-৯০ মেয়াদে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি কামারখন্দ) আসনের এমপি ছিলেন।
তিনি বলেন, আসিফ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। সে মতিঝিলে দেশ ট্রেডিং করপোরেশনের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ছিল। আসিফ তার শ্বশুরবাড়িতে থাকতো। ভোরে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনই খবর দেয় আসিফের অবস্থা ভালো না, তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। পরে এখানে এসে আসিফকে মৃত দেখতে পাই। আমাদের সন্দেহ আসিফকে মেরে ফেলা হয়েছে। সে আত্মহত্যা করতে পারে না। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
আসিফের শ্যালক সাইমন শাহিদ নিশাদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, চার বছর আগে আসিফ তার বড় বোন সাবরিনা শাহিদ নিশিতাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। আসিফের পরিবার এটি মেনে নেয়নি। এজন্য আসিফ কাঁঠালবাগান শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। তাদের কোনো সন্তান নেই। আসিফের পরিবার থাকে মিরপুরে।
তিনি আরও জানান, আসিফ ও সাবরিনার মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়া হতো। গত রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আসিফ ৯তলার বারান্দা থেকে রেলিংয়ের ওপর দিয়ে লাফিয়ে নিচে পড়ে যান।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র আজ দুপুরে গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা