১৫০ বছর ধরে চলে আসা বাবরি মসজিদের বিরোধপূর্ণ এলাকা নিয়ে মামলার ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। শনিবার (৯ নভেম্বর) ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির একটি বেঞ্চ স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় এই রায় ঘোষণা করেছে। খবর এবিপি।
ওই রায়ে বলা হয়েছে, বিরোধপূর্ণ জমি একটি ট্রাস্টের অধীনে হিন্দুদের মালিকানায় থাকবে। অন্যত্র সমপরিমাণ (৫ একর) জমি মুসলিমদের দেওয়া হবে।
পাঁচ বিচারপতির সম্মিলিত বেঞ্চ রায়ে বলেছে, ভারত সরকারকে তিন মাস সময়ের মধ্যে একটি ট্রাস্ট গঠন করে দিতে হবে। যে ট্রাস্ট হিন্দুদের পক্ষ থেকে ওই বিরোধপূর্ণ ৫ একর জমির মালিকানা গ্রহণ করবে। ট্রাস্টই এই জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নেবে। কিন্তু মুসলিমদেরকেও বঞ্চিত করা হবে না। অন্যত্র উপযুক্ত জায়গা দেখে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ৫ একর জমির ব্যবস্থা করে দেবে ভারতের কেন্দ্রিয় অথবা রাজ্য সরকার। বরাদ্দকৃত জমিতে নতুন করে মসজিদ নির্মাণ করবে এই বোর্ড।
রায় পড়ে শোনানোর সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই) প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই রায় দেওয়া হয়েছে। এএসআই প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে রায়ে বলা হয়েছে, বিরোধপূর্ন জমিতে আগে থেকেই কোনো মুসলিম স্থাপনা ছিল না। একইভাবে এখানে যে কোনো মন্দির ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে এই অভিযোগও প্রমাণিত হয়নি। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি অনুসারে এখানে কোনো ফাঁকা জমিতে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল সে বিষয়টিরও সত্যতা পাওয়া যায়নি। যাই হোক মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার মতো আইনের শাসন পরিপন্থি কোন কাজও আদালত ভালো চোখে দেখে না বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে, সুন্নী ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে করা শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের মামলাটি সুরাহা করে সুপ্রিম কোর্ট। যার ভিত্তিতে ওই বিরোধপূর্ণ জমির বদলে অন্যত্র জমি পাওয়ার ব্যাপারে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে মনোনীত করা হয়।
এই রায়কে সামনে রেখে ভারতের মুম্বাই ও অযোধ্যায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা