বাজার স্থিতিশীল না রাখলে চাল আমদানির হুশিয়ারী খাদ্যমন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক

‘চালের বাজার স্থিতিশীল রাখেন, সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ি গুদামে চাল সরবরাহ করেন, যদি তা না করেন তবে সরকার চাল আমদানিতে যেতে বাধ্য হবে।’

বুধবার (১ জুলাই) ‘বাজারে চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে আলোচনা’ শীর্ষক সভায় মন্ত্রীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন বলে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবছর বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভরা মৌসুমে চালের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার কোনো কারণ নেই। যদি কেউ চালের মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা করে তাহলে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। প্রয়োজনে সরকারিভাবে চাল আমদানির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।‘

তিনি বলেন, ‘সরকার আমদানিতে যেতে চায় না, গেলে মিলারদের লস হবে এবং যেসব কৃষক ধান ধরে রেখেছে তারাও লোকসান করবে। এ সময় যেসব মিল এগিয়ে আসবে তাদের এ, বি ও সি ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করতে ইতোমধ্যে অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেসব মিলকে পরে সেভাবে মূল্যায়ন করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কৃষক বাঁচলে ধান উৎপাদন হবে এবং আপনারা চালকল মালিকরা বেঁচে থাকবেন। কৃষক যাতে বিপাকে না পড়ে, বিশেষ করে প্রান্তিক কৃষক যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পায় সেজন্য এবার আট লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে করোনাকালীন সময়ে সবাই বিপদগ্রস্ত। এবার না হয় লাভ একটু কম করলেন। প্রত্যেকবার লাভ সমান হয় না। এবার মানুষকে সেবা করার সুযোগ রয়েছে। সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসুন।‘

এসময় সভায় অন্যন্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন – দেশের আট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় চালকল মালিক সমিতির ২ জন করে প্রতিনিধি, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

fblsk