আবু মুহাম্মদ মাছানী
যদিও বর্তমানে চলচ্চিত্র অবস্থা খুবই নাজুক ।১২০০-১৩০০ সিনেমাহল এখন নাকি ২০০তে নেমে এসেছে। দর্শকরা এখন আর সিনেমা হলে যায় না। কারণ হিসেবে বলা যায় ছবি এখন হাতের মুঠোয় দেখা যায়, সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। কিন্তু কথা হলো মৌলিক ছবি, প্রাণের ছবি, দেখার মতো ছবি কয়জন বানাচ্ছে এখন?
গুণী পরিচালকগণ একেকজন না ফেরার দেশে চলে গেছেন। হয়না আর সেই রকম চিত্রনাট্য রচনা, নেই সেই গীতিকার ,সুরকার, সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে লেখা হয়না আর গল্প। হয়না এখন গোলাপি, জয়গুন, জরিনা, সখিনার মত চরিত্র। নাই এখন ডলি আনোয়ার, ববিতা, কবরী ও শাবানার মত ডেডিকেটেড অভিনেত্রী। কোথায় সেই আমজাদ হোসেন, সুভাষ দত্ত আর আব্দুল্লাহ আল মামুনের মতো পরিচালক?
কিন্তু তারপরও আমরা স্বপ্ন দেখি, কেননা সিনিয়র পরিচালকদের পাশাপাশি আমাদের এখানে আছে অমিতাভ রেজা, অনিমেষ আইচ, মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী ও রেদওয়ান রনীর মত অনেক মেধাবী ও তরুণ পরিচালক।
আমাদের আছে জয়া আহসান, তিশা, মমর মত গুণী অভিনেত্রী। যাদেরকে দিয়ে অনায়াসে শক্তিশালী নারী চরিত্রে অভিনয় করানো যায়। আরো আছে সুবর্ণা মোস্তফা, চম্পা, মৌসুমী, পপি, পূর্ণিমা, বিপাশা, মিমি, মোমেনা চৌধুরীর মত প্রতিভাবান অভিনেত্রী যাদের প্রতিভার মূল্যায়ন চলচ্চিত্রে এখনো সেই ভাবে করা হয়নি। এখন শুধু দরকার মোক্ষম সুযোগ, সুন্দর চিত্রনাট্য এবং প্রতিভাবান পরিচালক। ভালো ছবিতে বিনিয়োগের জন্য যদি কেউ এগিয়ে আসে তাহলে আরো প্রসিদ্ধ হবে বাংলা চলচ্চিত্র। আমরা আশাবাদী চলচ্চিত্রের সেই স্বর্ণালী যুগ ফিরে আসবে এবং আমাদের দেশ সমৃদ্ধ হবে সেসব চলচ্চিত্র দিয়ে। আমার বিশ্বাস আমাদের চলচ্চিত্র ফিরে পাবে হারানো ঐতিহ্য। আমরা তাহলে দেখতে পাবো আবারো গোলাপী, সখিনা, জরিনা, নবিতুন এবং জয়গুনের মত চরিত্র।
আমাদের পাশের দেশ ভারতেই এখনো নারীপ্রধান ছবি অহরহ হচ্ছে। কুইন, ডাটি পিকচার, ফ্যাশন, চামেলী, মনিকূরনিকা, পিঙ্ক, পাঙগা, পিকু, কাহানী এবং তনু ওয়েডস মনু এর উদাহরণ।
কলকাতাতে হয়েছে, দহন, পরমা, পারমিতার একদিন, বাড়িওয়ালী, চোখের বালি, রাজকাহিনী, ক্রিস ক্রস, তিন কন্যা আরো একবারের মত অসংখ্য নারী প্রধান চলচ্চিত্র। আমাদের এখানে হতে পারে কারো বায়োপিক কিংবা বেগম রোকেয়াকে নিয়ে চলচ্চিত্র। আমরা চাই স্বামী কেন আসামী, রানী কেন ডাকাত এর মত নারী প্রধান চলচ্চিত্র না হয়ে হোক উত্তর ফাল্গুনী বা দেবী চৌধুরানীর মত ছবি। হতে পারে প্রীতিলতাকে নিয়ে ছবি, হতে পারে ফেলানী, ইয়াসমিন কিংবা নুরজাহান নিয়ে ছবি। আবার হতে পারে নারী প্রধান কোনো পলিটিক্যাল ছবি। যেমন মুম্বাই এ হয়েছে রাজনীতি নামে একটি ছবি। আর আমাদের বাংলা সাহিত্যে অনেক গল্প আছে যেখানে অনেক সুন্দর এবং শক্তিশালী নারী চরিত্র আছে।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস এদেরকে নিয়ে ছবি হলে আমাদের দেশের চলচ্চিত্র অবশ্যই সমৃদ্ধ হবে এবং দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কার নিয়ে আসবে যেমন এনেছিল সারেং বউ, সূর্য দীঘল বাড়ি এবং গোলাপী এখন ট্রেনের এর মত ছবি। আশাকরি সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিএফডিসি এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে। এবং দর্শক আবারো হলমুখো হবে।
আবু মুহাম্মদ মাছানী, সিনিয়র সাব-এডিটর দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট email: abumasani2016@gmail.com
কলকাতাতে হয়েছে, দহন, পরমা, পারমিতার একদিন, বাড়িওয়ালী, চোখের বালি, রাজকাহিনী, ক্রিস ক্রস, তিন কন্যা আরো একবারের মত অসংখ্য নারী প্রধান চলচ্চিত্র। আমাদের এখানে হতে পারে কারো বায়োপিক কিংবা বেগম রোকেয়াকে নিয়ে চলচ্চিত্র। আমরা চাই স্বামী কেন আসামী, রানী কেন ডাকাত এর মত নারী প্রধান চলচ্চিত্র না হয়ে হোক উত্তর ফাল্গুনী বা দেবী চৌধুরানীর মত ছবি। হতে পারে প্রীতিলতাকে নিয়ে ছবি, হতে পারে ফেলানী, ইয়াসমিন কিংবা নুরজাহান নিয়ে ছবি। আবার হতে পারে নারী প্রধান কোনো পলিটিক্যাল ছবি। যেমন মুম্বাই এ হয়েছে রাজনীতি নামে একটি ছবি। আর আমাদের বাংলা সাহিত্যে অনেক গল্প আছে যেখানে অনেক সুন্দর এবং শক্তিশালী নারী চরিত্র আছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এদেরকে নিয়ে ছবি হলে আমাদের দেশের চলচ্চিত্র অবশ্যই সমৃদ্ধ হবে এবং দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কার নিয়ে আসবে যেমন এনেছিল সারেং বউ, সূর্য দীঘল বাড়ি এবং গোলাপী এখন ট্রেনের এর মত ছবি। আশাকরি সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিএফডিসি এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে। এবং দর্শক আবারো হলমুখো হবে।fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা