অনলাইন ডেস্ক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে সোমবার (৫ আগস্ট) চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর প্রাক্কালে এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রাতিক সময়ে শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা বিশ্ব সংকট মুহূর্ত পার করছে বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশ এখনও শক্ত অবস্থানে রয়েছে। আমরা কোভিড-১৯ মোকাবিলা করেছি, এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এসবের প্রভাব পড়েছে। ঋণের হার যদি ধরেন, বাংলাদেশ সবসময় সময়মতো ঋণ পরিশোধ করে। সুতরাং আমাদের ঋণের হার খুবই কম।
শ্রীলঙ্কার প্রেক্ষাপটে, আমাদের অর্থনীতির গতিপথ এবং উন্নয়ন, খুবই পরিকল্পিত- বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, গৃহীত প্রকল্প থেকে লাভ আসবে কিনা – এটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ কোনো ঋণ নেয় না।
‘আমি মনে করি, গোটা বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের মুখে। আমরাও তাই। কিছু মানুষ এটাকে ইস্যু বানাচ্ছে। সেই সঙ্গে বলছে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। কিন্তু আমি তাদের নিশ্চিত করতে পারি, না, এটা ঘটবে না। কারণ আমরা আমাদের উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করি। এবং সেই সঙ্গে কিভাবে তা ফেরত দিব সেটা আগেই পরিকল্পনা করি। মানুষ কিভাবে লাভবান হবে সেটা আগে ভেবে রাখি, অযথা প্রকল্প নিয়ে অর্থ নষ্ট করি না।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সরকার তখনই ঋণ নেওয়ার চিন্তা করে যখন দেখে প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে দেশের জন্য কী পরিমাণ রিটার্ন হবে।কিভাবে আমাদের দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন হবে, মানুষ লাভবান হবে এটা অগ্রাধিকার পায়। সেই পরিকল্পনা করেই আমরা প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণ করি। অপ্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করি না।
শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ধস নামার পিছনে বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, উচ্চাভিলাষী প্রকল্প, চীনের মতো দেশের কাছ থেকে উচ্চ হারে ঋণ নেওয়া এবং তা সময় মতো ফেরত দিতে না পারা। অনেক বিশেষজ্ঞ এই ধরনের ঋণকে ‘ফাঁদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার অত্যন্ত পদ্ধতিগতভাবে বিবেচনা করে পরিকল্পনা গ্রহণ করে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির মুখোমুখি হবো না। শুধু তাই নয়, নীতিগত বিষয়ে, মহামারী শুরু হওয়ার মুহূর্ত থেকে আমাদের জনগণকে সাথে নিয়ে এগোচ্ছি। আমরা গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সব ধরনের সহায়তা দিয়েছি। জনগনকে আরও বেশি খাদ্যদ্রব্য বাড়াতে উৎসাহ দিয়েছি। আমি সবসময় তাদের বলেছি, আপনারা খাদ্য উৎপাদন বাড়ান যাতে অন্যের ওপর নির্ভর করতে না হয়।
তবে শেখ হাসিনা স্বীকার করেছেন ইউক্রেনের সংঘাত দেশে কিছু সমস্যা তৈরি করেছে। তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে কোন সন্দেহ নেই যে একটা খারাপ প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে আমদানি পণ্যের ওপর প্রভাব পড়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা