মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পৃথিবীর মধ্যে নজীর স্থাপন করেছেন এবং এই সম্পর্ক সবসময় বজায় থাকবে।
আজ শনিবার সকালে ভারত থেকে দেশে ফিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ত্রিপুরার অবদান কখনো ভোলার নয়। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ত্রিপুরায় চারটি সেক্টরে বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং এই ত্রিপুরায় ছিল শরণার্থী ক্যাম্প। চার সেক্টরের মধ্যে ‘পদ্মা’ নামক সেক্টরের চীফ হিসাবে আমি (মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী) দায়িত্ব পালন করেছি।
মন্ত্রী বলেন, ৭১’র স্মৃতিবিজরিত মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ত্রিপুরার ওইসব সেক্টরগুলো কীভাবে সংরক্ষণ করা যায় সেসব বিষয়ে ত্রিপুরা সরকারের সাথে আলোচনা হয়েছে। ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে ভারত কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে আলোচনা করা হবে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, খুব শিগগিরই রাজাকারের তালিকা প্রণয়ন করা হবে এবং এই মাসের মধ্যেই রাজাকারের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে।
বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরৎ পাঠানোর ব্যাপারে ভারত সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে মুক্তিযোদ্ধা একাডেমি ট্রাস্টের একটি সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এক দিনের সফরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে যান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা, সহকারী পুলিশ সুপার কসবা সার্কেল আব্দুল করিম, আখাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ রসুল আহমদ নিজামী প্রমুখ।
NB:This post is copied from dailynayadiganta
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা