গঙ্গা বেসিন ও ব্রহ্মপুত্র-যমুনা বেসিনে বন্যা ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। বুধবার ( ৬ নভেম্বর) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হ্যান্ডওভার সিরেমনি অব দি প্ল্যানিং ফর ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ শীর্ষক অনুষ্ঠানে চীনা অনুদানে সম্পাদিত সমীক্ষাভিত্তিক বন্যা ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনাটি বাংলাদেশের পক্ষে তুলে দেন। পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জনাব জাহিদ ফারুক বলেন, চীনের অব্যাহত সহযোগিতা বাংলাদেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেছে এবং দু’দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে।
আরও পড়ুন : কবিতা – শান্তির আশ্রমে ঘুমিয়ে থাকুন মনু আপা
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ. কে. এম. এনামুল হক শামীম বলেন, বাংলাদেশ চীনের অকৃত্রিম বন্ধু এবং উন্নয়নের বিশ্বস্ত সহযোগী। দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ৬টি প্রকল্পের কাজও দ্রুত বাস্তবায়িত হবে এবং দুই দেশের মধ্যে অধিকতর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রেখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।
এসময় পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার সহ মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, প্রকল্পটিতে যমুনা, গঙ্গা ও পদ্মা নদীর মূলধারা এবং ব্রহ্মপুত্র-যমুনার কয়েকটি শাখানদী (দুধ কুমার, ধরলা ও তিস্তা) বন্যা ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটির জন্য মোট ব্যয় হয় ২৫.৯৪ কোটি টাকা যেখানে চীন সরকারের কারিগরী অনুদান ২৫.৬৮ কোটি টাকা । এ প্রকল্পের ফলে বাংলাদেশে পরবর্তীতে মধ্য মেয়াদী এবং দীর্ঘ মেয়াদী বন্যা ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের দিক নির্দেশনা প্রণয়ন করার কাজে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের জুন মাসে চীন সফরকালে দুই দেশের সরকারের মধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি অব ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্পের বিনিময় পত্র স্বাক্ষর করেন।
ফেসবুক পেজ :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা