বেসরকারি খাত বিষয়ক ইউএসএআইডির গবেষণায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ১৬টি সম্ভাবনাময় খাত চিন্থিত করেছে। সম্ভাবনায় শিল্পখাতসমুহ চিহ্নিত করা হয়েছে এরমধ্যে রয়েছে কৃষিবাণিজ্য, হালকা প্রকৌশল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং আউটসোর্সিং, পর্যটন, ওষুধশিল্প এবং স্বাস্থ্যসেবা হলো বেসরকারি খাতে ব্যবসা করা ও বিনিয়োগের সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল এলাকা। . বাংলাদেশের অর্থনীতির বহুমুখীকরণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নতুন গতিসঞ্চারে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার (ইউএসএআইডি) মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশি বেসরকারি খাতের সঙ্গে অংশিদারিত্ব তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্র।. ইউএসএআইডির বিশদ বেসরকারি খাত মূল্যায়ন (পিএসএ) কৃষিবাণিজ্য (খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ), স্বাস্থ্যসেবা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং আউটসোর্সিং, হালকা প্রকৌশল, ওষুধশিল্প এবং পর্যটনকে তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতের বাইরে সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল খাত হিসেবে সনাক্ত করেছে।
বাংলাদেশি বেসরকারি খাত বিষয়ক কনসালটেশন প্রতিষ্ঠান ইনসপিরা অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড কনসালটেন্সি লিমিটেডের মাধ্যমে এই পিএসএ পরিচালিত হয়েছিল ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের জুলাইয়ের মধ্যে। এতে মোট ১৬টি প্রতিশ্রুতিশীল সম্ভাবনাময় খাত নিরীক্ষা করা হয়। এই তালিকায় আরো ছিল সিরামিকস, অন্ট্রোপ্রুনারশিপ, চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্য, চিকিৎসা সামগ্রী, প্লাস্টিক, নবায়নযোগ্য জ্বালানী ও জ্বালানী দক্ষতা, জাহাজ নির্মাণ, চিংড়ি ও মাছ, টেলিযোগাযোগ এবং মোটরগাড়ি সংযোজন। এই মূল্যায়নে পুরো জ্বালানী খাতসহ কিছু গতানুগতিক শিল্পখাত বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
পিএসএ-এর ফলাফল বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণ সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরো এগিয়ে নিতে সরকার ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা আরো গভীর করায় সহায়তা করে।
ইউএসএআইডি ও অন্যান্য বিভাগের মাধ্যমে এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এই পিএসএ-তে সনাক্ত অগ্রাধিকার খাতগুলোকে বিশ্লেষণ করবে এবং এইসব খাতে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণ করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কৌশল অনুসন্ধান করবে।
বহুমুখীকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নিদর্শন হিসেবে এই মূল্যায়ন প্রতিবেদন উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, ইউএসএআইডির উপ-প্রশাসক বনি গ্লিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিশন উপ প্রধান জোঅ্যান ওয়াগনার।
বিশদ বেসরকারি খাত মূল্যায়ন-এর পূর্ণাঙ্গ বিবরণ পড়ুন এখানে: https://bit.ly/2CdZpUV
ইউএসএআইডির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা