বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গণমাধ্যমঝুঁকিতে আছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি বেশি। এরপরও সাংবাদিকদের সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।
দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় সোমবার বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সাংবাদিক আফসান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন, ড. সুরাইয়া বেগম এবং বেসরকারি সংস্থা এমআরডিআই’র নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন টিআইবির ন্যায়পাল অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
দুর্নীতিবিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য অনুষ্ঠানে ১০ জন সাংবাদিককে পুরস্কার দেয়া হয়।
এছাড়া নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দেশে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন করেছে টিআইবি। কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, কার্টুন ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, মেলা, গণশুনানি, র্যালি এবং মানববন্ধন। মূল কথা ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স সংক্রান্ত সরকারের প্রতিশ্র“তি বাস্তবায়নের তাগিদ।
আলোচনা সভায় ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সাংবাদিকতায় ঝুঁকি থাকলেও এরমধ্য দিয়েই সাংবাদিকদের টিকে থাকতে হবে। মান ও নৈতিকতার সঙ্গে আপস না করে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচারের মাধ্যমে পেশাগত উৎকর্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের গণমাধ্যম সাম্প্রতিক কালে অনেক বেশি ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে দুটি ধারা আছে। একটি অংশ এই অবস্থায় নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছে। যোগসাজশে, সুবিধা অর্জনের সুযোগ ও পেশাগত আপস করছে। দ্বিতীয় অংশটি এর মধ্যেই টিকে থাকার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, টিকে থাকতে গিয়ে হয়তো আরও আপস করতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা মনে করি, টিকে থাকতে হবে, টিকে থেকে কাজ করতে হবে, টিকে থাকতে গিয়ে মূল জায়গায় আপস করা যাবে না। সম্ভাবনা এখনো আছে, এই সম্ভাবনা আরও বিকশিত করার কথা বলতে হবে।
অনুষ্ঠানে ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ প্রেক্ষিত গণমাধ্যম জবরদখল’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন টিআইবির পরিচালক শেখ মন্জুর-ই-আলম।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা