অনলাইন ডেস্ক
গত ১৭ জুন তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে মুম্বাইয়ের গুরু নানক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
প্রায় ৪০ বছরের ও বেশি সময় তিনি বলিউডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার অসাধারণ নাচ ও এক্সপ্রেশনে মুগ্ধ হয়েছেন ৮ থেকে ৮০ বছরের সবাই। এক সময় তার হাত ধরেই বলিউডের বহু তারকা এসেছিলেন। ২ হাজারের বেশি গানের তিনি কোরিওগ্রাফি করেছেন। তার মৃত্যুতে বলিউডের এক যুগের অবসান ঘটল।
১৯৪৮ সালের ২২ নভেম্বর মুম্বাই শহরে জন্ম তার। তার আসল নামছিল নির্মলা নাগপাল। মাত্র তিন বছর বয়সে শিশু শিল্পী হিসেবে বলিউডে তার ক্যারিয়ারের সূচনা।
১৯৫০-এর দশকে তিনি যোগ দেন ব্যাক আপ ড্যান্সার হিসেবে। দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন তত্কালীন প্রখ্যাত কোরিওগ্রাফার বি সোহনলালের সঙ্গেই। তাকেই তিনি আজীবন নিজের মাস্টারজী মেনে এসেছেন।
স্বাধীন কোরিওগ্রাফার হিসেবে তার কাজ শুরু ১৯৭৪ সালে ‘গীতা মেরা নাম’ ছবি দিয়ে। তবে তার ক্যারিয়ার উড়ান নেয় শ্রীদেবী এবং মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে কাজের পরই। ১৯৮৭ সালে মিস্টার ইন্ডিয়া, ১৯৮৬ সালের নাগিনা, ১৯৮৯ সালে চাঁদনি, ১৯৮৮ সালে তেজাব এবং ১৯৯০ সালে থানেদার ছবি তাকে বলিউডে প্রতিষ্ঠা দেয়। দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে, হাম দিল দে চুকে সনম, দেবদাস, জব উই মেট, মণি কর্নিকার মতো ছবির নাচের দৃশ্যও উজ্জ্বল তার অবদানের জন্য।
বহু বছরের বিরতির পর ফের তিনি তার পছন্দের অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে কাজ করেন কালাঙ্ক ছবিতে। সেই তার শেষ কাজ।
২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সরোজ খান একটি টিভি রিয়ালিটি শো-এর বিচারকও ছিলেন।
তার অনন্য সব নাচের স্টেপ আজও সমান জনপ্রিয় বলিউড এবং সাধারণ মানুষের কাছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা