অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের (এনডিএমএ) শীর্ষ নির্বাহী লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইনাম হায়দার আজ সোমবার রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন এ তথ্য।
বিগত বছরগুলোর তুলনায় চলতি বছরও জুন মাসেই বর্ষাকাল শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। তবে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে জুনের শেষ দিক থেকে।
সংবাদ সম্মেলন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইনাম হায়দার বলেন, যে ৬৭০ জনের প্রাণহানি হয়েছে, তাদের মধ্যে ৩৫০ জনেরও বেশি, অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন গত চার দিনে। আকস্মিক বন্যা বা হড়পা বানে পুরো গ্রাম ভেসে গেছে— এমন ঘটনাও গত দেড় মাসে ঘটেছে কয়েক বার।
সংবাদ সম্মেলনে এনডিএমএ প্রধান বলেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায়। এনডিএমের তথ্য অনুযায়ী, পার্বত্য এই প্রদেশের বুনের, সোয়াত, শাংলা এবং মানশেরা বন্যায় তছনছ হয়ে গেছে। শুধু বুনের জেলাতেই মারা গেছেন ২২০ জন। এছাড়া যে ২০০ জন এখনও নিখোঁজ আছেন, তারাও সবাই খাইবার পাখতুনখোয়ার।
পাহাড়ি ঢল ও হড়পা বানে খাইবার পাখতুনখোয়া, গিলগিট-বাল্টিস্তান, আজাদ কাশ্মিরের অধিকাংশ এলাকায় সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ধ্বংস হয়েছে, সেতু-কালভার্ট ধ্বংস হয়েছে শত শত ঘরবাড়ি ভেসে গেছে এবং মোবাইল ও বিদ্যুৎপরিষেবা ভেঙে পড়েছে। উপদ্রুত ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ ও মোবাইল পরিষেবা ফিরিয়ে আনতে কাজও শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে।
পাকিস্তানের বৃহত্তম ত্রাণ প্রদান সংস্থা আল খিদমত ফাউন্ডেশন ভূমিধস ও হড়পা বানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা ফজল মাবুদ তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেছেন, “এখানকার পরিস্থিতি আমাদের ধারণার থেকেও ভয়াবহ। কাদা, পাহাড় থেকে আসা পাথর আর ধ্বংসস্তূপ ছাড়া এখানে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।”
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা