অনলাইন ডেস্ক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। জ্বালানির অভাবে চিকিৎসা দিতে না পারায় একের পর এক রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এদিকে, গাজায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে দেশে দেশে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি এখন পুরোই যেন মৃত্যুপুরী। হাসপাতলগুলোতে দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলের ক্রমাগত হামলা ও জ্বালানি সংকটে গাজার বড় দুটি হাসপাতাল আল-কুদস ও আল-শিফার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। কামাল আদওয়ান হাসপাতালের জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে অপারেশন। গাজার উত্তরাঞ্চলে এটিই ছিলো সবশেষ চালু হাসপাতাল। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় দেখা দিয়েছে চরম মানবিক বিপর্যয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, জ্বালানি সংকটে চিকিৎসার অভাবে হাসপাতালগুলোতে রোগী মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। বাস্তুচ্যুত কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি আল-শিফা হাসপাতলে আটকা পড়েছে। হাসপাতাল থেকে বের হলেই চালানো হচ্ছে হামলা। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক যে, হামলার কারণে হাসপাতালে পড়ে থাকা নিহত শতাধিক মরদেহ দাফন করা যাচ্ছে না।
এদিকে, গাজায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ও যুদ্ধবিরতির আহ্বানে দেশে দেশে বিক্ষোভ হচ্ছে। প্যারিস, লিয়ন, নিস, স্ট্রাসবার্গসহ ফ্রান্সজুড়ে ৭০টিরও বেশি স্থানে বিক্ষোভ-মিছিল হয়েছে। অংশ নিয়েছিলো ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষ। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়্যেল ম্যাক্রোঁ এই প্রতিবাদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে হাজার হাজার মানুষ। এ সময় ইসরাইল বিরোধী স্লোগান দেয় তারা। গাজায় হামলা বন্ধে উদ্যোগ নিতে অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে তৎপর হওয়ার দাবি জানায়। এছাড়াও আমেরিকা, কানাডা এবং ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।
গত ৭ই অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলের হামলায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা