অনলাইন ডেস্ক
সম্প্রতি মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডে বড় ধরনের ভূমিকম্পে অসংখ্য ভবন ধ্বসে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ভূমিকম্পের পর আরো নানা সংকট দেখা দিয়েছে দেশদুটিতে। গবেষকদের মতে, এই দুটি দেশের পর এখন বাংলাদেশ আছে সবচেয়ে ঝুঁকিতে।
তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে ভূমিকম্প বিশ্লেষক ও গবেষকরা বলছেন, ৮ থেকে এর বেশী মাত্রার ভূমিকম্প একই এলাকায় ৩’শ বছর পরপর পূণরায় ফিরে আঘাত হানে। ৭ মাত্রার বেশী ভূমিকম্প ১২০ থেকে ১৭০ বছর পর। বাংলাদেশের ভূমিকম্পের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ১৭৬২ সাল থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত ৮ মাত্রার বেশি তীব্রতা নিয়ে দুটি ভূমিকম্প হয়েছে। ১৮৬৯ সাল থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে হয়েছে ৭ মাত্রার বেশী শক্তিশালী ৪টি ভূমিকম্প। চক্রপূর্ণ হওয়ায় বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা এবং সিলেট অঞ্চল এখন ৭ এবং ৮ মাত্রার ভূমিকম্প ঝুঁকিতে আছে বলে জানান বুয়েট এর পুরকৌশলবিদ মেহেদী আহমেদ আনসারি ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর পরিচালক মো. মমিনুল ইসলাম।
এমন বিপর্যয় দেখা দিলে কি পরিনতি হবে সেটিও বিশ্লেষন করেছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, দেশের প্রধান শহরগুলোর শতকরা ৫০ ভাগ পাকাবাড়ি নীতিমালা না মেনে গড়ে ওঠায় তা ধ্বসে যাবে। ধ্বংসস্তুপে পরিনত হবে ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলো। এছাড়া মাটির নিচ দিয়ে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আগুন লাগারমত ঘটনা ঘটে বিপর্যয় বাড়াবে বহুগুন। ভূমিকম্পের সম্ভাব্য এমন বিপর্যয় থেকে বাঁচতে করণীয় কী, সেই পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভূমিকম্পের হাত থেকে বাঁচতে এখন থেকেই যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করা না গেলে চরম মূল্য দিতে হবে বলেও সতর্ক করেন বিশেষজ্ঞরা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা