অনলাইন ডেস্ক
বুধবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বজ্রপাতে ১৬ জনের মধ্যে একই পরিবারের ৭ জন মারা যায়। সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিযনের ৯নং ওয়ার্ডের মহারাজনগর গ্রামের তোবজুল হোসেন, তার মেয়ে ল্যাচন ছেলে সাইদুল, ছেলে বৌ টকিয়ারা, নাতি বাবলু একই বাড়ি ও পরিবারের সদস্য। বুধবার রাতেই এই জনকে একইস্থানে বাড়ির গলিতে কবর দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই সাতজনের কবর কংক্রিট ঢালাই দেওয়া হয়। তোবজুলের বাড়িতে ভিড় ঢেলে গিয়ে দেখা গেল বড় জন ১১ বছরের সিহাব, সনিয়া, তানিয়া ও ছোটজন চার বছরের শিশু তাজরিনসহ চারটি শিশুর হাতে কেউ কেউ নগদ টাকা দিয়ে সহায়তা করছে। নির্বাক দেখা গেল চার শিশুকে। এই চারশিশু বজ্রপাতে নিহত সাইদুল ও টকিয়ারার সন্তান।
বৌভাতে অংশ নিতে গিয়ে একই সাথে থাকা তোবজুলের আরেক ছেলে ওবাইদুর আহত হয়ে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হলেও বৃহস্পতিবার কিছুটা সুস্থতাবোধ করায় বৃহস্পতিবার ছাড়পত্র নিয়ে চলে যায় বাড়ি। তার স্ত্রী রিতা ও শিশু সন্তান মুসলিমা ছিলেন অক্ষত। রিতা জানান, সেখানে আমার ২ বছরের শিশু কন্যা মুসলিমাসহ ভাশুরের শিশুকন্যা তাজরিন, ময়না, জমজ ভাইবোন সীমা-মমিন জনতার হাট এলাকার দুজন ও শিবগঞ্জের পাকা ইউনিয়নের সালাউদ্দিনের ছেলে মিনহাজুল (হাসপাতালে ভর্তি) সহ ৮ শিশু ছিল অক্ষত।
এলাকাবাসী আব্দুল বারী জানান, বজ্রপাতে নিহতদের কবর থেকে মরদেহ চুরি হয়ে যায়, সে কারণে এলাকাবাসীর সিদ্ধান্তে বৃহস্পতিবার বিকেলে কবর কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া হলো।
নিহত ১৬ জনের মধ্যে জনতাহাট খড়িবোনা গ্রামের তিনজন পদ্মাপার নারায়ণপুরের দুজন, শিবগঞ্জ পাকা এলাকার ১ জন, চরবাগডাঙ্গা এলাকার ১ জন বলে জানান রিতা। রিতা জানান, সবাই তো একসাথে ছিলাম। কিভাবে যে আমি, আমার মেয়ে ও আমার স্বামী বেঁচে গেলাম।
সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বুধবার ১০ জন ভর্তির মধ্যে ৯ জনই ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। ভর্তি রয়েছে সালাহদ্দিনের ছেলে মিনহাজুল। সালাহদ্দিন জানান, আমি একটু দূরে ছিলাম। আমার ছেলেটা ছিল টোল আদায় ছাউনিতে অন্যদের সাথে। আমার ছেলে আহত হলে আল্লাহ প্রাণে বাঁচিয়ে দিয়েছেন আমাকে ও আমার সন্তানকে।
সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে নার্স কাজল রেখা জানান, মিনহাজুল ছাড়া বৃহস্পতিবার সবাই ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছে।
বৌভাতে নৌকায় যাবার সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ পাঁকার নয় রশিয়া এলাকায় বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বজ্রপাতে একই পরিবারের তিনজনসহ ১৬ জনের মৃত্যু ও ১২ জন আহত হন। বর পক্ষের নৌকাটি দক্ষিণ পাঁকা গ্রামের ঘাটে এসে পৌঁছামাত্র প্রচুর বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় যাত্রীরা ঘাটের ইজারাদারের ঘরে আশ্রয় নিলে সেখানে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। নিহত ১৬ জনের মধ্যে বরের বাবা, নানা, নানী, মামা, মামী, চাচাতো ভাই-বোন, বোন ও বোনজামাই ছিল।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা