অনলাইন ডেস্ক
নদীর তলদেশে দেশের সর্বপ্রথম টানেল চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কাজ প্রায় ৯১ ভাগ শেষ হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরেই চালুর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। এদিকে, চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ওয়াই জংশন পর্যন্ত টানেলের সাথে সংযোগ স্থাপনকারী ছয় লেনের সড়কের কাজও এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, টানেলটি শুধু স্থানীয় নয়, জাতীয় অর্থনীতিতেও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রাম হয়ে উঠছে দেশের নতুন বাণিজ্য কেন্দ্র৷ চট্টগ্রাম বন্দর ও দক্ষিণের আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করা এই টানেল দূরত্ব কমাবে পর্যটনগরী কক্সবাজারের সাথে সারাদেশের। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে টানেলের প্রায় ৯১ শতাংশ কাজ। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে টানেলটি চালুর লক্ষ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ।
টানেলের দুই প্রান্তে গাড়ির চাপ সামলাতে কয়েকটি সড়ক তৈরির কাজও চলছে। টানেল চালুর আগেই এসব সড়কের কাজ শেষ করার কথা জানালেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এই টানেলকে কেন্দ্র করে এরইমধ্যে কর্ণফুলীর দক্ষিণ তীরে গড়ে উঠছে বড় বড় শিল্প কারখানা। যার কারণে চট্টগ্রামে বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
বঙ্গবন্ধু টানেলের কারণে কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সারাদেশের যোগাযোগও সহজ হবে।