বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের আর মাত্র ১১ দিন বাকি। চলছে ক্ষণগণনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং দেশের স্বাস্থ্য খাতে বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। তিনি লাল সবুজের কথা’কে বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। উনার ডাকে এবং উনার নেতৃত্বের মাধ্যমেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। যদিও তিনি যেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, সুখী, সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ এটা হয়ত করে যেতে পারেন নি। সময় পাননি।
তার যা স্বপ্ন ছিল, তা তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেকটা পূরণ করেই ফেলেছেন, হয়ত আগামীদিনে বাকিগুলো পূরণ করে ফেলবেন। একসময় শেখ হাসিনার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর যা স্বপ্ন ছিল তার বাস্তবায়ন হবে।
অনেকে হয়ত অযথাই বিতর্ক করে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে। তিনি সব দলমত নির্বিশেষে সবকিছুর ঊর্ধ্বে। উনি বাংলাদেশের, বাঙালির জনক। বাঙালি জাতিসত্ত্বা তার মাধ্যমেই স্বাধীন হয়েছে। আসলে বাংলাদেশ মানেই শেখ মুজিব। এতে কোন সন্দেহ নেই।
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে তিনি কেবল কাজ করা শুরু করেছিলেন। স্বাধীনতার পরপরে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ ছিল। রাস্তাঘাট, পুল ছিলনা। অর্থনীতির খুবই খারাপ অবস্থা ছিল। তিনি সেই ভঙ্গুর অর্থনীতির ভিতর দাঁড়িয়ে সবদিকে যেমন নজর দিয়েছেন, স্বাস্থ্যখাতের দিকে তিনিই নজর দিয়েছেন।
তখন থানা ছিল। থানার যে কার্যক্রমগুলো তিনিই শুরু করেন। চিকিৎসকের উন্নয়নে যা যা করা দরকার তিনি চেষ্টা করেছেন। নতুন নতুন স্বাস্থ্যনীতি তৈরিতে তার উদ্যোগ ছিল। এমনকি বর্তমানে যে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে, যেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় এখন চালু আছে। বিশেষ করে রুট লেভেলে এই কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যখাতে বিশাল অবদান রেখে চলেছে। এটা বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল।
তিনিই একসময় চিন্তা করেছেন স্বাস্থ্যনীতি গণমানুষের ঘরের দরজা পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। এটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এবং সেই স্বপ্নটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন বাস্তবায়ন করছেন। স্বাস্থ্যখাতে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান সেটা কিন্তু অনস্বীকার্য। আমরা যতটুকু এগুচ্ছি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ফসল বলতে পারেন। যদিও তার কন্যা শেখ হাসিনার মাধ্যমে এগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে।
শুধু মূল অবকাঠামো নয়, স্বাস্থ্যখাতের উচ্চশিক্ষার জন্য যে, পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন দরকার এটা উনি চালু করেছিলেন। তৎকালীন বিসিপিএস, আইপিজিএমআর এগুলো তার তৈরি করা।আইপিজিএমআর তৎকালীন শাহবাগ হোটেল ছিল। স্বাস্থ্যের উচ্চশিক্ষার জন্য যেটা দরকার এবং এটার রিসার্চের জন্য যা যা করা দরকার সেই লক্ষ্য নিয়েই কিন্তু তৎকালীন আইপিজিএমআরটা উনি চালু করেন। তখন আইপিজিএমআর চালু হয়েছে বলে এখন অনেক পোস্ট গ্রাজুয়েট ডাক্তার বিভিন্ন সাবজেক্টে বের হচ্ছে। এটা ছিল বলে বের হচ্ছে এবং সে জন্যই স্বাস্থ্য’র বর্তমান কাঠামোটা আমরা দাঁড় করাতে পেরেছি।
তিনিই প্রথম চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দান করেছিলেন। সেই সহযোগিতা যদি উনি না করতেন তাহলে কিন্তু আমাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিশাল ভ্যাকুয়াম হতো এতে কোন সন্দেহ নেই। তখন পোস্ট গ্রাজুয়েশন করে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে প্রফেসর যারা এখন চালাচ্ছে সেটা কিন্তু ঐ আইপিজিএমআর (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) করার সুফল। এটা না করলে স্বাস্থ্যখাতের বিশাল ভ্যাকুয়াম তৈরি হতো। এটা উনারই অবদান। এটা আমাদের স্বীকার করতেই হবে।
সাক্ষাতকার গ্রহণ : তাসকিনা ইয়াসমিন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, লাল সবুজের কথা ডটকম।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা