সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীর জনপ্রিয়তা পুরষের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়ে থাকে পুরুষরা।
তবে ফেসবুকে স্ত্রীর আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি এক স্বামী। স্ত্রীর ফেসবুক আসক্তি আর তার জনপ্রিয়তা দেখে তাকে নৃশংসভাবে খুন করল সেই স্বামী।
সম্প্রতি ভারতের রাজস্থানের জয়পুরে এমন ঘটনাই ঘটল। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ত্রীর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা কাল হয়ে দাঁড়াল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, দু বছর আগে অনলাইড ফুড কোম্পানির ডেলিভারি বয় হিসাবে চাকরি নিয়ে সহকর্মী রেশমা মাগলানির প্রেমে ২৫ বছরের যুবক আয়াজ আহমেদ। রেশমা সনাতনি ধর্মের হওয়ায় ছেলের এ প্রেম মেনে নেয়নি পরিবার।
তাই বাড়ি থেকে পালিয়ে আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ে করেন তারা। পরে দুই পরিবার তাদের মেনে নেয়। ঘর আলো করে আসে এক শিশু। তার বয়স এখন তিন মাস।
এ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন রেশমা। দিন দিন হু হু করে তার ফ্যান-ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। নিয়মিত নিজেদের জীবনযাত্রার ছবি পোস্ট করতে থাকেন তিনি।
স্ত্রীর সেসব পোস্টে অগণিত লাইক, রিয়েক্ট, কমেন্ট দেখে সন্দেহ হয় আয়াজের। স্ত্রীর ফেসবুক আসক্তিও তাকে বিষিয়ে তোলে। এ নিয়ে ঝগড়া, বাকবিতণ্ডা হলে স্ত্রী তার বাবার বাড়ি চলে যান।
পরে পরিবারের চাপে গত রোববার স্ত্রীকে আনতে শ্বশুরালয়ে যান আয়াজ। ফেরার পথে নির্জন স্থানে শ্বাসরোধ করে রেশমাকে খুন করেন আয়াজ। এর পর ভারী পাথর দিয়ে রেশমার মুখ থেঁতলে দেন তিনি।
পরের দিন রেশমার দেহ খুঁজে পায় পুলিশ। এর পরই সন্দেহভাজন আয়াজকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় স্ত্রীর হত্যার দায় স্বীকার করেছে আয়াজ। রেশমা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। ফেসবুকে তার ফলোয়ার সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়ে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে সম্প্রতি স্ত্রীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কি কথপোকথন হচ্ছে তা চেক করতেন আয়াজ। এ নিয়েই তাদের মধ্যে বিরোধ বাড়ে।
আয়াজের রিুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ২০১ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা