অনলাইন ডেস্ক
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তারা এমন একটি ওষুধ আবিষ্কার করেছেন, যা সেবনে ফুসফুস ক্যান্সারে মৃত্যুঝুঁকি অর্ধেক কমিয়ে দেয়।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্রোপচারের পর ‘ওসিমেরিনিব’ নামের ওষুধটি সেবন করলে ফুসফুস ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুঝুঁকি ৫১ শতাংশ পর্যন্ত কমে আসে।
ক্যান্সার নিয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় কনফারেন্সে এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে শিকাগোতে আমেরিকান সোসাইটি অব ক্লিনিক্যাল অনকোলজির বার্ষিক সভায় শেষ পর্যায়ে থাকা গবেষণাটি সম্পর্কে জানানো হয়।
ক্যান্সারে যত রোগী মারা যান তাদের ভেতর ফুসফুস ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রতি বছর ফুসফুসের ক্যান্সারে বিশ্বে প্রায় ১৮ লাখ মানুষ মারা যায়।
এ গবেষণার প্রধান এবং ইয়েল ক্যান্সার সেন্টারের পরিচালক ডা. রয় হার্বস্ট বলেন, ৩০ বছর আগেও এমন রোগীদের জন্য কিছু করা যেত না। এখন আমাদের কাছে এই শক্তিশালী ওষুধটি রয়েছে।
তিনি বলেন, ৫০ শতাংশ সফলতা যেকোনো রোগের ক্ষেত্রেই অনেক বড়। ফুসফুস ক্যান্সার এমন একটি ক্যান্সার যেখানে থেরাপিতেও খুব একটা কাজ হয় না।
২৬টি দেশের ৩০ থেকে ৮৬ বছর বয়সী ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের ওপর ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়েছে। ওষুধটি নন-স্মল ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্তদের সহায়তা করতে পারে কি-না সেটিও দেখা হয়েছে।
ট্রায়ালে অংশ নেওয়া রোগীদের সবাই ইজিএফআর জিনে আক্রান্ত ছিলেন। এই জিনটি সারাবিশ্বের এক চতুর্থাংশ ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ভেতরে থাকে। এ ছাড়া এশিয়ায় ৪০ শতাংশেরও বেশি ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর ভেতর এই জিনটি দেখা যায়। একটি ইজিএফআর মিউটেশন পুরুষের তুলনায় নারীদের ভেতর বেশি দেখা যায়। এটি যারা কোনোদিন ধূমপান করেননি বা খুব সামান্য ধূমপান করেন তাদের ভেতরেও দেখা যায়।
শিকাগোতে হার্বস্ট বলেন, এই ট্রায়ালে ‘রোমাঞ্চকর’ ফলাফল পূর্বেকার প্রাপ্তিকে আরও ওজনদার করেছে। ওষুধটি ফুসফুস ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তির ঝুঁকিকেও অর্ধেক করে দেয়।
হার্বস্টের মতে, ইজিএফআর মিউটেশনসহ সারাবিশ্বের ২৫ শতাংশ ফুসফুস ক্যান্সারের ওষুধ হিসেবে এটি ব্যবহার করা যাবে। তবে চিকিৎসা শুরুর আগে এই জিন আছে কি-না সেটা পরীক্ষা করতে হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের টিউমার অপসারণের পাঁচ বছর পরে তাদের ৮৮ শতাংশ বেঁচে আছেন। যাদের ওষুধটি দেওয়া হয়নি তাদের মধ্যে বেঁচে আছেন ৭৮ শতাংশ। সব মিলিয়ে যারা ‘ওসিমেরিনিব’ নিয়েছেন তাদের মৃত্যুঝুঁকি ৫১ শতাংশ কমেছে।
বাজারে ওষুধটির নাম তাগরিসো। এটি তৈরি করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা