অনলাইন ডেস্ক
একাত্তরের মার্চেই বাঙালীর মুক্তির আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে যায়। পহেলা মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান গণপরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণার পরই হাজারো মানুষ ঢাকার পল্টন-গুলিস্তানে বিক্ষোভ শুরু করে। এদেশের মানুষ বুঝতে পারে, পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে আর এক মানচিত্রে থাকা সম্ভব নয়।
মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাকিস্তান সরকারের হটকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এদেশে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার দাবি ক্রমশ বেগবান হতে থাকে। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু দোসরা মার্চ থেকে দুই দিনের জন্য তৎকালীন পাকিস্তানে হরতালের ডাক দেন এবং ৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জনসভার ঘোষণা দেন। ৭ই মার্চ বাঙালি জাতির এই অবিসংবাদিত নেতা ঐতিহাসিক ভাষণে ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
এরপর আসে ২৫শে মার্চ- কালরাত্রি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ‘অপারশেন সার্চলাইট’ এর নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায়। ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। গর্জে ওঠে বাঙালি। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, অগ্নিঝরা দিন। যার হাত ধরেই আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা