অনলাইন ডেস্ক
এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ভারতের সব থেকে সফলতম ব্যাটার তিনি। দশ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭১১ রান। ১০১.৫৭ গড় ও প্রায় ৯০ স্ট্রাইক রেটে বিপক্ষ দলের ব্যাটারদের কচুকাটা করেছেন তিনি যার মধ্যে রয়েছে তিনটি শতকও। বিরাটের ব্যাটিং ভারতীয় দলের ভরসার অন্যতম প্রধাণ কারণ। চলতি প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত বিরাটের তেমন কোনো ভুল চোখে পড়েনি। যখন প্রয়োজন হয়েছে ধরে খেলেছেন, যখন দরকার পড়েছে হাত খুলে খেলেছেন। প্রতিটি পরিস্থিতিতে বিরাট নিজের নামের মতোই খেলেছেন। তাই তাকে থামাতে না পারলে কামিন্স-স্টার্কদের জন্য কঠিন সময় অপেক্ষা করছে।
রবীন্দ্র জাদেজা
এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে ১০ ম্যাচে রান করেছেন ১১১। শেষ দিকে নেমে প্রয়োজনে জুটি বেঁধেছেন। আবার প্রয়োজনে দ্রুত রান করেছেন। ফিনিশারের ভূমিকায়ও দেখা গিয়েছে জাদেজাকে। আবার বল হাতেও ১০ ম্যাচে নিয়েছেন ১৬টি উইকেট। সব থেকে ভালো ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট।
জাসপ্রীত বুমরাহ
এই বিশ্বকাপে ভারতের দুর্দান্ত বোলিংয়ের মূল কারিগরই এই রহস্য পেসার। প্রতিটি ম্যাচেই ভারতের বোলিংকে খুব ভালো শুরু দিয়েছেন বুমরাহ। পাওয়ার প্লে-তে উইকেট নিয়েছেন। চলতি প্রতিযোগিতায় ১০ ম্যাচে ১৮টি উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ। ওভার প্রতি মাত্র ৩.৬৫ রান দিয়েছেন তিনি। আবার পুরোনো বলেও ভাল বল করেন বুমরা। ডেথ ওভারে বলের গতির তারতম্য করেন তিনি। করেন ইয়র্কারও। তাই বুমরাহকে খেলতে না পারলে কিউইদের জন্য কঠিন কিছুই অপেক্ষা করছে।
অস্ট্রেলিয়া দল
গ্রুপ পর্বে এই অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারালেও ফাইনালে ভারতের জন্য অপেক্ষা করছে সম্পূর্ণ অন্য লড়াই। টানা আট ম্যাচ জিতে ফাইনাল খেলতে আসা অস্ট্রেলিয়াও ভয়ঙ্কর মূর্তিতে রয়েছে। ৬ নম্বর বিশ্বকাপের জন্যে মরিয়া তারা। দলের অনেক ক্রিকেটারই দারুণ ছন্দে। অস্ট্রেলিয়ার যে তিন খেলোয়াড় ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারে তারা হলো
ডেভিড ওয়ার্নার
ভারতের মাটিতে দীর্ঘ দিন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ব্যাটার। দীর্ঘ দিন ধরে আইপিএলে খেলছেন। চার বার আইপিএলে ৬০০-র উপর রান রয়েছে। ভারতের এমন কোনও মাঠ নেই যেখানে তিনি খেলেননি। আহমেদাবাদও অপরিচিত নয়। ঠিক যেমন চেনা ভারতের বোলারদেরও। সবাইকে আইপিএলে খেলেছেন। ফলে ওয়ার্নারকে আউট করতে গেলে বুদ্ধি কাজে লাগাতে হবে ভারতীয় বোলারদের। এবারের বিশ্বকাপেও খারাপ ছন্দে নেই এই ব্যাটার। দশ ম্যাচে তার রান ৫২৮।
স্টিভ স্মিথ
ওয়ার্নারের মতোই আরেক ভয়ঙ্কর ব্যাটার। নিজের দিনে তিনি একার হাতে ম্যাচ জেতাতে পারেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে তার শতরান ভারতকে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে দিয়েছিল। পরে আরও কয়েক বার ভারতের ঘাতক হয়ে উঠেছেন তিনি। ভারতীয় বোলার এবং পিচকে হাতের তালুর মতোই চেনেন। স্পিনটাও ভালই খেলতে পারেন। ফলে স্মিথকে আউট করা ভারতীয়দের কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
মিচেল স্টার্ক
বাঁহাতি পেসারদের ক্ষেত্রে ভারতীয়দের দুর্বলতার কথা কারও অজানা নয়। অতীতে এই স্টার্ক বহু বার ভুগিয়েছেন ভারতকে। বল পিচে পড়ার পর ভেতরে ঢুকে আসলে অস্বস্তিতে পড়তেই পারেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। স্টার্ক যদি এক বার ছন্দ পেয়ে যান তা হলে তাকে থামানো কঠিন। ইডেনের সেমিফাইনালেও সেটাই দেখা গিয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা