অনলাইন ডেস্ক
কিন্তু মুজিব-ব্রাভোরা তা হতে দেননি। দারুণ বোলিংয়ে আটকে রাখেন কুমিল্লার ব্যাটসম্যানদের। শেষ দিকে মঈন-রনির ব্যাটে ৫১ বলে ৫৩ রান যোগ করে কুমিল্লা। ৩২ বলে ৩৮ রান করে মঈন ফিরলে ভাঙে এই জুটি। সর্বোচ্চ ২৩ বলে ৫৭ রান করেন নারিন। ২১ বলে ফিফটি করেছিলেন এই ক্যারিবীয়ান। এ ছাড়া আর কেউ ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩ রান করে দলটি। কুমিল্লা ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৫১ রান। জয়ের জন্য সাকিবদের প্রয়োজন ১৫২ রান। সর্বোচ্চ ২ উইকেট করে পেয়েছেন মুজিব উর রহমান ও শফিকুল ইসলাম।
৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে কুমিল্লা
যথারীতি ধুঁকছে কুমিল্লা। আরিফুল হককে ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান মুজিব। এরপর খেলার হাল ধরেন মঈন আলী-আবু হায়দার। দুজনে সেট হলেও রান তুলতে পারছেন না। দুজনে ২৬ বলে যোগ করেন ১৯ রান। ১৫ ওভার শেষে দলটির সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান। শেষ চার ওভারে একটি বাউন্ডারিও মারতে পারেননি দুজনে।
চেপে ধরেছে বরিশাল
সুনীল নারিনের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৫.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান তুলে ফেলেছিল কুমিল্লা। কিন্তু নারিন আউট হওয়ার পর ছন্দপতন ঘটে তাদের। দ্রুত হারায় ৪টি উইকেট। বাজেভাবে আউট হন স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা। ৫.২ ওভারে ৬৯ থেকে ১০.৩ ওভারে ৯৫ রানে যেতেই তারা হারায় ৪টি উইকেট। সেখান থেকে মঈন আলী ও আবু হায়দার রনি চেষ্টা করছেন দলীয় সংগ্রহকে বড় করতে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কুমিল্লার রান ১৩.২ ওভারে ৬ উইকেটে ১০৭।
নারিন ফেরার পর কুমিল্লাকে চেপে ধরেছে বরিশাল
নারিনের ঝড় পাওয়ার প্লেতে ৬৩ রান তোলে কুমিল্লা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে নারিন ফেরার পর থেমে যায় কুমিল্লার রানের চাকা। মুজিব-ব্রাভোরা চেপে ধরে ইমরুল কায়েসের দলকে। চার ওভারে তারা মাত্র ২১ রান নেয়। রানআউট হয়ে মাহমুদুল হাসান জয় ফেরেন মাত্র ৮ রানে। ফাফ ডু প্লেসিকে ৪ রানের বেশি করতে দেননি মুজিব। ব্রাভোর বাউন্সে ১২ রানে পরাস্ত হন ইমরুল। ১০ ওভার শেষে কুমিল্লার সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান।
নারিন ঝড়ের পর কুমিল্লার ছন্দপতন
সুনীল নারিন ঝড় তুলে আউট হন দলীয় ৬৯ রানে। তার মধ্যে তার রান ছিল ২৩ বলে ৫৭। এরপর অবশ্য ছন্দপতন ঘটেছে কুমিল্লার। ৬৯ থেকে ৯৫ রানে যেতে তারা হারিয়েছে আরও চারটি উইকেট। আউট হয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয় (৮), ফাফ ডু প্লেসিস (৪), ইমরুল কায়েস (১২) ও আরিফুল হক (০)।
নারিন ঝড়ে দুর্দান্ত কুমিল্লা
আজও খুনে মেজাজে সুনীল নারিন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে পাওয়ার প্লেতে ভাসিয়েছেন রান উৎসবে। মুজিব উর রহমানকে লং অনে ৬ মেরে শুরু, প্রথম ওভারেই নেন ১৮ রান! শফিকুলের দ্বিতীয় ওভারে আবার ২ ছয় ১ চারে ১৮ রান! দুই ওভারে আসে ৩৬ রান। তৃতীয় ওভারে সাকিব মাত্র ৪ রান দিয়ে ফেরান লিটন দাসকে। ডোয়াইন ব্রাভোর চতুর্থ ওভারে মাত্র ৬ রান আসলেও সাকিবের পঞ্চম ওভারে নারিন নেন ১৬ রান! পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম বলে মেহেদি হাসান রানাকে ৬ হাঁকিয়ে ২১ বলে দেখা পান ফিফটির। পরের বলেই সোজাসুজি উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন শান্তর হাতে। ক্যাচ নিয়েই খুশিতে নেচে ওঠেন তিনি। পাওয়ার প্লেতে কুমিল্লার সংগ্রহ ২ উকেট হারিয়ে ৭৩ রান।
ফাইনালের মহারণে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে সাকিবের বরিশাল
ট্রফি থেকে এক ম্যাচ দূরত্বে দুই দলই। যারা সেরাটা দিয়ে লড়তে পারবে তারাই হাসবে শেষ হাসি। বিপিএলের চলতি আসরের সেরা দুই দল ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স মুখোমুখি চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। টস হেরে ফিল্ডিং করবে সাকিব আল হাসানের বরিশাল। খেলাটি শুরু হবে বিকেল সাড়ে ৫টায়।
অপরিবর্তিত দল নিয়ে নেমেছে কুমিল্লা। অন্যদিকে বরিশালের একাদশে এসেছে ১ পরিবর্তন। জিয়াউর রহমানের পরিবর্তে একাদশে এসেছেন সৈকত আলী।
টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত সাকিবের বরিশাল। শুরুতে হারের মুখ দেখলেও দলটি ঘুরে দাঁড়ায় সময়মতো। টানা জয়ে শীর্ষে থেকে শেষ করে রাউন্ড রবিন লিগ। প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লাকে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে হারিয়ে নিশ্চিত করে ফাইনাল।
ফরচুন বরিশাল একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুনিম শাহরিয়ার, নাজমুল হোসেন শান্ত, ক্রিস গেইল, তৌহিদ হৃদয়, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), জিয়াউর রহমান, ডোয়াইন ব্রাভো, মুজিব উর রহমান, মেহেদী হাসান রানা ও শফিকুল ইসলাম।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স একাদশ: ইমরুল কায়েস (অধিনায়ক), লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), আরিফুল হক, তানভির ইসলাম, আবু হায়দার রনি, মোস্তাফিজুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, সুনীল নারিন, মঈন আলী ও ফাফ ডু প্লেসি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা