অনলাইন ডেস্ক
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে পথে পথে ঝক্কি-ঝামেলাকে সঙ্গী করে নাড়ির টানে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। করোনা সংক্রমণ রোধে আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। চালু রয়েছে কঠোর বিধিনিষেধও (লকডাউন)। তারপরেও মানুষকে ‘ঘরবন্দি’ করে রাখতে পারেনি সরকার।
দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও হাজার হাজার মানুষ মাইলের পর মাইল হেঁটে, আবার কেউ প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল এমনকি ময়লার গাড়িতে করেও গন্তব্যে পোঁছাচ্ছে। এক্ষেত্রে গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। তারপরেও স্বজনের সঙ্গে ঈদ করার খুশিতে পথের কষ্ট ভুলে যাচ্ছে মানুষ।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে মানুষ শহর ছেড়ে চলে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ঢাকায়। মার্কেট ও শপিংমল এলাকা ছাড়া অধিকাংশ রাস্তাঘাট ফাঁকা হতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (১১ মে) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি, রমনা, তেজগাঁও, শাহবাগ ও নিউমার্কেটের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে এমন চিত্র।
নগরীর ব্যস্ততম এলাকা কারওয়ান বাজার ঘুরে একই চিত্র দেখা মেলে। এই এলাকায় রাত যত গভীর হয়, ততই মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ক্রেতা-বিক্রেতায় জমজমাট হয়ে উঠে। কিন্তু এখন সেখানে মানুষের উপস্থিতি খুবই কম।
এদিকে বুধবার (১২ মে) সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসবে। এদিন চাঁদ দেখা গেলে বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে। অন্যথায় শুক্রবার ঈদ হবে।