অনলাইন ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সাত-রশিয়া চামা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম। পাগলা নদী খননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার চার বছর ধরে বালি তোলার পর ফেলে রেখেছে রফিকুলের ১০ বিঘা জমিতে। ফসল ফলাতে না পেরে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। একই অবস্থা স্থানীয় অনেক চাষীর।
জমি ফিরে পেতে মানববন্ধন হয়েছে। লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়েছে। কিন্তুপ্রশাসননীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের। তারা জানালেন, মাটি কাটতে বাধা দিলে প্রভাবশালী মহল দিচ্ছেন হুমকি।
স্থানীয়রা বললেন, বালু উত্তোলনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের টেন্ডারের মেয়াদ শেষ। কিন্তু রানীহাটি ইউপি চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন অবৈধভাবে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে এখনও বালু উত্তোলন করছে। জোর করে কেটে নিচ্ছে ফসলি জমির মাটি। ঐ চক্রের একজন বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।
তবে বালু তোলা ও জমির মাটি কেটে নেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান রহমত আলী।
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানালেন,পাগলা নদী খনন কর্মসূচির মেয়াদ শেষ। আর যেন কেউ খনন না করে, সে ব্যাপারে নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
ফসলি জামির মাটি যেন কেউ কেটে নিতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে উপজেলার নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত¡াবধানে ২০১৯-২০ ও ২০-২১ অর্থবছরে পাগলা নদীর প্রায় ৪২ কিলোমিটার এলাকা খনন করা হয়। নদীর তীরে ১৫০ মিটার এলাকাজুড়ে ফসলি জমিতে এসব বালু ফেলা হয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা