অনলাইন ডেস্ক
ফায়ার সার্ভিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, মসজিদের নিচ দিয়ে যাওয়া তিতাস গ্যাসের লিকেজ হওয়া লাইন থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণ ঘটেছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘মসজিদের নিচ দিয়ে একটি গ্যাস পাইপ রয়েছে। আর এ পাইপের লিকেজ দিয়ে মসজিদের ভেতরে গ্যাস জমা হয়। মসজিদে এসি চলার কারণে দরজা জানালা সব বন্ধ রাখা হয়। আলো বাতাস বের হতে না পারায় নির্গত গ্যাস বের হতে পারেনি। বিস্ফোরণের আগে বিদ্যুতের কোনো কিছু জালানোর সময় স্পার্কিং থেকে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মসজিদের মেঝেতে থাকা পানিতে গ্যাসের বুদবুদ ওঠায় সন্দেহ হয়। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় মসজিদের নিচ দিয়ে তিতাস গ্যাসের অনেকগুলো লাইন গেছে। আর পাইপগুলোর প্রতিটিতে একাধিক লিকেজ রয়েছে। সেই লিকেজের গ্যাস সব সময় মসজিদে উঠতো। আর নামাজের আগে থেকে মসজিদের দরজা জানালা বন্ধ করে এসি চালু করার ফলে পুরো রুমে এসি ও গ্যাস মিশে যায়। তাতে করে ভয়াবহ এ বিস্ফোরণ ঘটে।’
আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করলে তারা দ্রুত এখানে এসে আমাদের ধারণাকে নিশ্চিত করে। তারা জানান গ্যাসের লাইন থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় হঠাৎই বিকট শব্দে মসজিদের নিচতলার চলমান ৬টি এসি এক সঙ্গে বিস্ফোরিত হয়। মুহুর্তেই আগুনে ঝলসে যান মসজিদে থাকা প্রায় অর্ধশত মুসল্লি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামাজের মধ্যেই হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ফিরে আসার পরেই ঘটে এই বিস্ফোরণ।
এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহায়তায় দগ্ধদের প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দগ্ধদের অবস্থা খারাপ দেখে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেখ হাসিনা বার্ণ অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১ শিশু ও মুয়াজ্জিনসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এছাড়া, দগ্ধ আরও ২৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন – কুদ্দুছ ব্যাপারী (৭২), সাব্বির (২২), দেলওয়ার (৪৫), জুয়েল (৭), জামাল (৪০) , জুবায়ের (১৮), হুমায়ুন কবির (৭০), মোস্তফা কামাল, ইব্রাহিম (৪৩), রিফাত (১৮) এবং জুনায়েদ (১৭)।
এঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা