অনলাইন ডেস্ক
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন বুদ্ধদেব। কিডনির সমস্যাও ছিল তার। পরিবারিক সূত্রের খবর, বুধবার তার ডায়ালাইসিস হয়েছিল। বৃহস্পতিবার আরও এক দফায় ডায়ালিসিস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে তার স্ত্রী দেখেন যে সাড়া মিলছে না প্রখ্যাত এই পরিচালকের। পরে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
১৯৪৪ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার আনাড়ার জন্মগ্রহণ করেছিলেন বুদ্ধদেব। তার বাবা রেলে চাকরি করতেন। ১২ বছরে হাওড়ার স্কুলজীবন শুরু করেন। তারপর অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
৯৬৮ সালে ১০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র ‘The Continent of Love’ দিয়ে নিজের চলচ্চিত্র কেরিয়ার শুরু করেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। তাঁর পরিচালিত ৫টি ছবি-বাঘ বাহাদুর, চরাচর, লাল দরজা, মন্দ মেয়ের উপাখ্যান, কালপুরুষ জাতীয় পুরস্কার পায়। পরিচালক হিসেবেও তিনি নিজেও দু’বার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। দেশের বাইরে বিদেশেও একাধিক সম্মান পেয়েছেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব, বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রশংসা পেয়েছে তাঁর ছবি। পরিচালকের পাশাপাশি একাধারে কবিও ছিলেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। কফিন কিংবা সুটকেস, হিমযোগ, রোবটের গান, শ্রেষ্ঠ কবিতা ইত্যাদি বহু কবিতা লিখেছেন তিনি।
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর কাছে তাঁর পরিচালক পরিচয়ের থেকেও আপন ছিল কবি সত্ত্বা ৷ কবিতার মৃত্যু নেই ৷ অমর তাঁর ছবির সেই ভবঘুরেরাও ৷ দিবাস্বপ্ন হলেও যাঁরা দিন পাল্টানোর প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করতে ভালবাসে ৷ ‘চরাচর’-এর লখিন্দর একদিন নিজেই পাখি হয়ে আকাশে ডানা মেলে ৷
বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত ‘তাহাদের কথা’, ‘উত্তরা’ ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা