অনলাইন ডেস্ক
মসজিদ সংলগ্ন একটি ভাঙা শিলালিপি থেকে জানা যায়, মসজিদটি বারবক শাহ এর পুত্র সুলতান শামসুদ্দীন ইউসুফ শাহ এর শাসনামলে (১৪৭৪-১৪৮১ খ্রি.) নির্মিত। মসজিদটি পুনঃসংস্কার করা হয় ১৯৯৩-৯৪ সালে । বর্তমানে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্তে প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৬শ এবং জুমার দিনে দেড় থেকে দুই হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।
মসজিদটি এখনো আগের মতোই রয়েছে। তবে টাইলস ও মোজাইক দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে। জানা যায়, মসজিদটি দীর্ঘকাল পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। ফলে এটি ঝোপঝাড়ে ঢাকা পড়ে যায়। পরে সুফি মুকিম শাহ নামের একজন ফকির এটি পুনরায় নামজের উপযুক্ত করে ব্যবহার শুরু করেন। মুকিম শাহের সমাধি মসজিদের পাশে অবস্থিত এবং পরে মসজিদটি ফকির মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। মসজিদের চার কোণে রয়েছে চারটি সংলগ্ন বুরুজ।
এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্মিত হয়েছে মসজিদের কেন্দ্রীয় মিহরাবটি। মিহরাবটিও নির্মিত হয়েছে একটি আধা উঁচু সংলগ্ন বুরুজবৎ প্রকোষ্ঠে। মসজিদের সকল বুরুজ বা মিনার অষ্টকোণাকৃতি, যা ঊর্ধমুখী ছাদ-পাঁচিল পেরিয়ে উপরে উঠে গেছে ও শীর্ষদেশ আবৃত করে আছে একটি করে ছোট গম্বুজ। পূর্ব দেওয়ালে খুব নিচু ও সূঁচালো বহির্মুখী তিনটি খিলান রয়েছে। নামাজের হলঘরটি দুটি স্তম্ভসারি দ্বারা তিনটি চত্বরে বিভক্ত। মৌলভী হামিদুল্লাহ খান তার আকীদাত আল-খাওয়ানিন-এ (১৮৫৩) এই মসজিদের কথা উল্লেখ করেছেন। ডক্টর আবদুল করিম এই মসজিদকে চট্টগ্রাম জেলার সবচাইতে প্রাচীন মসজিদ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রবন্ধ রচনা করেছেন।
বর্তমানে মসজিদের মোতোওয়াল্লী মো. সৈয়দ রফিকুল হাসান ও সাধারন সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম । মসজিদের খতিব মাওলানা নরুল হক এবং পেশ ইমাম মাওলনা একরামুল হক।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা