অনলাইন ডেস্ক
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভারতের গৌহাটি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন দুই লঙ্কান ওপেনার। যদিও খানিক পরেই কাঁধে অস্বস্তি বোধ করায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন কুশাল পেরেরা। তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৩৪ রান। এরপর নিসাঙ্কাকে সঙ্গ দিতে আসেন কুশাল মেন্ডিস। দু’জনের ব্যাটে শতরান পেরিয়ে যায় লঙ্কানরা। তবে দলীয় ১০৪ রানে মেন্ডিসকে (২২) ফিরিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন নাসুম আহমেদ। পরের ওভারেই সাদিরা সামারাবিক্রমাকে (২) আউট করেন শেখ মেহেদী।
এরপর ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে ৫২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নিসাঙ্কা। এই লঙ্কান ব্যাটারকেও সাজঘরে ফেরান মাহেদী। ৬৪ বলে ৬৮ রানে থামেন নিশাঙ্কা। এরপর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা চারিথ আশালঙ্কাকে সাজঘরে ফেরান শেখ মেহেদী। মিরাজের দারুণ ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ১৮ রান করে। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লঙ্কান অধিনায়ক শানাকা। শরিফুলের শর্ট বলে তানজিমের ক্যাচে ৩ রানেই ফিরতে হয়েছে তাকে।
এরপর রান আউটে কাটা পড়েন করুনারত্নে (১৮)। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৫ রান করে মিরাজের শিকার হন ধনাঞ্জয়া। ১০ রানে দুনিথ ও ১১ রানে আউট হন হেমন্ত। ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন লাহিরু কুমারা।
বাংলাদেশের হয়ে শেখ মাহেদী ৩৬ রান খরচায় শিকার করেছেন ৩ উইকেট। এছাড়া নাসুম, শরিফুল, তানজিম ও মিরাজ একটি করে উইকেট পেয়েছেন। এদিন ৭ ওভার বোলিং করে উইকেট শূন্য থাকলেও বেশ মিতব্যায়ী ছিলেন তাসকিন আহমেদ।
২৬৪ টার্গেটে শুরু থেকেই দারুণ বোঝাপড়ায় ব্যাট করছেন ওপেনার লিটন- তানজিদ তামিম জুটি। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন জুনিয়র তামিম। অন্যদিকে, দেখেশুনে শুরু করা লিটন এরপর ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকেন। মাত্র ৩৯ বলে ৯টি চারের সাহায্যে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। অপরপ্রান্তে ৫২ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ফিফটি তুলে নেন তানজিদ তামিম। এই দু’জন মিলে ১৩১ রানের জুটি গড়েন ওপেনিংয়ে।
দুশান হেমান্থার টসড আপ ডেলিভারিতে সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে মাথিশা পাথিরানার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। আউট হওয়ার আগে ৫৬ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৬১ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার। লিটন প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেও থামেনি জুনিয়র তামিমের ব্যাটের তাণ্ডব। রীতিমতো ধসে দেন লঙ্কান বোলিং প্ল্যান। লিটনের বিদায়ের পর তিনে নামা মেহেদী হাসান মিরাজও ছিলেন দারুণ ছন্দে। তামিম-মিরাজ জুটির পঞ্চাশ রান পূর্ণ হয়ে যায় ৪০ বলেই। ব্যাট হাতে স্ট্রোকের ফোয়ারা ছুটিয়ে তানজিদ তামিম ধরেন সেঞ্চুরির পথ। তবে ম্যাজিকাল থ্রি ফিগার পূর্ণ করতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটার। লাহিরু কুমারার বলে চারিথ আসালাঙ্কার হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ৮৮ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৮৪ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন জুনিয়র তামিম।
এরপর ক্রিজে আসেন ইনফর্ম ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। তবে রানের খাতা খোলার আগেই হৃদয় সাজঘরে ফেরেন। দিনুথ ওয়েলাগের বলে কুশাল পেরেরার গ্লাভসবন্দি হন। এরপর টাইগারদের আর কোনো বিপদে পড়তে দেননি অধিনায়ক মিরাজ ও অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৭৪ রানের জুটি গড়ে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে অনায়াসে বাকি পথটা পাড়ি দেন মিরাজ। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা মিরাজ ৬৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন। মুশফিক দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ার আগে খেলেন ৪৩ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ৩৫ রানের ইনিংস।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে একটি করে উইকেট নেন লাহিরু কুমারা, দিনুথ ওয়েলাগে ও দুশান হেমন্ত।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা