অনলাইন ডেস্ক
সিএনএনে প্রকাশিত হয় সাংবাদিক পিয়ার্স মরগ্যানের সাথে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রধান নির্বাহী হাসান আল থাওয়ারির সাক্ষাৎকার। সেখানে আয়োজক কমিটির প্রধানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বহুল বিতর্কিত এই ইস্যুটি নিয়ে যে, প্রবাসী শ্রমিক মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা কতো। হাসান আল থাওয়ারি বলেন, এই সংখ্যা ৪ থেকে ৫শ’র মধ্যে। প্রকৃত সংখ্যা আমার জানা নেই। একটি মৃত্যুই অনেক বড় ব্যাপার। আমি মনে করি, প্রতি বছরই নির্মাণকাজে স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর বিশ্বকাপ আয়োজনের সাথে জড়িত প্রজেক্টগুলোতেও নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজে মনোযোগ বাড়ানো হচ্ছে। এই আয়োজনের জন্য আমরা দায়বদ্ধ।
এর আগে, চলতি বছরের নভেম্বরেই হাসান আল থাওয়ারি বলেছিলেন, বিশ্বকাপের ভেন্যু নির্মাণের কাজে জড়িত শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছিল ৩টি। আর, বিশ্বকাপের সাথে জড়িত নয়, এমন শ্রমিকের মৃত্যুর সংখ্যা ৩৭। এবারের বিবৃতিতে সংখ্যা বেড়ে গেলো আরও অনেক।
দ্য গার্ডিয়ান গত বছর তাদের প্রতিবেদনে বলেছিল, ২০১০ সালে বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে কাতার মনোনীত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সাড়ে ৬ হাজার প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছে। তাদের বেশিরভাগের মৃত্যুর কারণই হচ্ছে, স্বল্প বেতন, প্রচণ্ড গরমে কাজ করা বাধ্য হওয়া, ভয়াবহ মাত্রার পরিশ্রম।
গত বছর আয়োজক প্রধান হাসান আল থাওয়ারি দ্য গার্ডিয়ানের এই সংখ্যাকে অতিরঞ্জিত বলে উড়িয়ে দেন। বলেন, গত দশ বছরে দেশে যত বিদেশি শ্রমিক মারা গিয়েছে, সেই সংখ্যাকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। আর, সকল মৃত্যুকেই বিশ্বকাপ আয়োজনের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই পরিসংখ্যানে আসা মৃত্যুর মধ্যে অসুস্থতা, বার্ধক্যজনিত মৃত্যু, দুর্ঘটনায় মৃত্যু- সবই এসেছে। বিদেশি শ্রমিকের মাত্র ২০ শতাংশই যে এদেশে বিশ্বকাপের ভেন্যু নির্মাণের সাথে যুক্ত, এই ব্যাপারটিও আসেনি সেই প্রতিবেদনে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা