অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সুমন মেহেদির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু মিল মালিকরা চুক্তিমূল্যে সরকারকে চাল সরবরাহ না করায় চালকল মালিকদের বেশ কিছু দিন ধরেই হুঁশিয়ার করে আসছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। ’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এর আগে মিল মালিকরা চুক্তিমূল্যে সরকারকে চাল সরবরাহ না করায় শুল্ক কমিয়ে বিদেশ থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল।’
প্রসঙ্গত, ‘চলতি বছর সাড়ে ১৯ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেন সরকার। সে অনুযায়ি ৩৬ টাকা কেজি দরে মিলারদের কাছ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজিতে দেড় লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজিতে আট লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান কেনার কথা ছিল। ’
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ‘করোনাকালীন পরিস্থিতিতে কিছু মিল মালিক ৩৬ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ করবে না এবং সরকারের কাছে চালের দাম বাড়ানোর দাবি তোলেন। মিল মালিকদের কাছে চুক্তিমূল্যে চাল না দেওয়ায় মজুদের লক্ষ্য পূরণ করা নিয়ে বিপাকে পড়ে সরকার। ’
এর আগে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কারসাজি ঠেকাতে ও চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে প্রয়োজনে আমদানি শুল্ক কমিয়ে প্রয়োজন মতো চাল বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে।’
গত ৭ জুলাই এক সভায় মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘দেশে চাল আমদানি হলে মিলারদের লোকসান হবে এবং যেসব কৃষক ধান ধরে রেখেছে তারাও লোকসানে পড়বে। আর তাই চালের বাজার স্থিতিশীল রাখুন, সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করুন। ’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা