অনলাইন ডেস্ক
২০১৮ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক হয় সাদমান ইসলামের। ওই টেস্টের আগের দিন তৎকালীন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তাকে নিয়ে বলেছিলেন-সাদমানের ব্যাটিংটা টেস্ট মেজাজের সঙ্গে মানানসই। অধিনায়কের কথা মেনে নিজের অভিষেক ম্যাচটি টেস্ট মেজাজেই খেলেছিলেন। ১৯৯ বলে ৭৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস এসেছিল তার ব্যাট থেকে। এরপর আরও একটি হাফসেঞ্চুরি পেলেও ইনিংসগুলোকে বড় করতে পারছিলেন না।
শুক্রবার (৯ জুলাই) দিনের শেষভাগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালোভাবে সামাল দিয়েছেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সাদমান ইসলাম। শনিবার (১০ জুলাই) টেস্টের চতুর্থ দিনও এই দুই ওপেনারে ভর করে ভালো শুরু করেছে বাংলাদেশ। ভালো শুরু এনে দিয়ে ফিরে গেছেন সাদমান। ৪৩ রানে আউট হয়েছেন তিনি। তবে সাইফ ফিরলেও সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাদমান।এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি সিরিজে ৭৬ ও ৫৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাদমান। এর বাইরে বড় কোন ইনিংস ছিল না তার।
সাদমানের অভিষেক ম্যাচ দেখে সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফুল হোসেন লিপু বলেছিলেন, ‘সাদমানের বল সিলেকশন, টেম্পারমেন্ট, ডিফেন্স ও মাটি গড়ানো শট খেলা আমাকে মুগ্ধ করেছে। একটি ম্যাচের একটি ইনিংসে করা ৭৬ রান কোন একজন ডেব্যুটেন্ট ব্যাটসম্যানের চমৎকার শুরু বলা যায়, তবে যে নান্দনিক ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি ব্যাট করেছেন। আশা করি তার ক্যারিয়ার অনেক দূর যাবে।’
বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে কেবলমাত্র দুই ব্যাটসম্যান একটি ফরম্যাট খেলে। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক কিছু সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেললেও বর্তমানে কেবল টেস্টই খেলছেন। অন্যদিকে সাদমান হোসেনকে বিশেষজ্ঞ টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবেই জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই ফরম্যাটের বাইরে এখনো সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তার অভিষেক হয়নি। সবমিলিয়ে দেশে তিনটি ও দেশের বাইরে ৫টি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে সাদমানের।
গত বৃহস্পতিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিন ভালো কেটেছে বাংলাদেশের। মাহমুদউল্লাহর দেড়শ রানের ইনিংস এবং তাসকিনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে লড়াই করার বড় পুঁজি পেয়েছে সফরকারীরা।
এর আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪৬৮ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৫০ রান করেছেন ১৬ মাস পর টেস্টে ফেরা মাহমুদউল্লাহ। এটাই টেস্টে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ ছিলো ১৪৬ রান।
ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্ট খেলতে নেমে পঞ্চম সেঞ্চুরি করেছেন মাহমুদউল্লাহ। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরে শেষ নিজের ৪৯তম টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।
হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কাল মাঠে নেমে দিনের ১৭ ও ইনিংসের ১০০তম ওভারে পরপর জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শতক করলেন তিনি। সেঞ্চুরি করতে মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ১৯৫ বল। যেখানে ছিল ১১ চার ও একটি ছক্কার মার।
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তাসকিন আহমেদও দারুণ খেলেছেন। যেখানে দলের নিয়মিত ব্যাটসম্যানেরা ব্যর্থ হয়েছেন। সেখানে এই পেসার যেন বনে যান পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত করেছেন ৭৫ রান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিলো ১১ বাউন্ডারি দিয়ে।
এর আগে ২০১৭ সালে ক্রাইস্টচার্চে করেছিলেন ৩৩ রান। সেটিই ছিলো টেস্টে তার সর্বোচ্চ স্কোর। সেটিকে ছাড়িয়ে যান তিনি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা