মাহমুদুল হাসান জয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে প্রথমবারের মত অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো বাংলাদেশের যুবারা।
বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ৬ উইকটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। ১২৭ বলে ১০০ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন জয়।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারির ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রথম সেমিফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে ওঠে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত।
পচেফস্ট্রুমে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবর আলি। বোলিং-এর সিদ্বান্তটা সঠিক ছিলো, সেটি প্রমান করেছেন বাংলাদেশের দুই স্পিনার শামিম হোসেন ও রকিবুল হাসান। ১২তম ওভারে ৩১ রানের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনারকে বিদায় করেন শামিম ও রকিবুল।
বাংলাদেশের বোলারদের তোপে শুরুর ধাক্কাটা সামলে উঠতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। এক পর্যায়ে ১৪২ রানে কিউইদের ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে। এতে দ্রুতই গুটিয়ে যাবার শংকায় পড়েছিলো নিউজিল্যান্ড।
একপ্রান্ত আগলে নিউজিল্যান্ডের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন ছয় নম্বরে নামা বেকহাম হুইলার গ্রিনাল। পঞ্চম উইকেটে নিকোলাস লিডস্টোনের সাথে ৬৭ রানের জুটি গড়েন। লিডস্টোন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন।
তবে ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত খেলে নিউজিল্যান্ডকে ভদ্রস্থ স্কোর এনে দেন গ্রিনাল। ৮৩ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আর ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২১১ রান পায় নিউজিল্যান্ড।
বল হাতে বাংলাদেশের পক্ষে বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম ৪৫ রানে ৩টি, ডান-হাতি অফ-স্পিনার শামিম ও বাঁ-হাতি স্পিনার হাসান মুরাদ ২টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ২১২ রানের লক্ষ্যে শুরুতে বিপদে পড়ে বাংলাদেশও। ৩২ রানের মধ্যে উইকেট পতনের তালিকায় নাম তোলেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান। ইমন ১৪ ও তানজিদ ৩ রান করে ফিরেন।
তবে শুরুর ধাক্কাটা ভালোভাবে সামাল দিয়েছেন তিন নম্বরে নামা জয় ও তৌহিদ হৃদয়। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের লাইন-লেন্থকে দুর্দান্তভাবে সামলে নিয়ে রানের চাকা সচল করেন দু’জনে। এই জুটির কল্যালেন শতরানে পৌঁছায় বাংলাদেশ।
তবে সেখানেই কাটা পড়ে জয়-হৃদয়ের জুটি। ৪৭ বলে ৪টি চারে ৪০ রান করেন হৃদয়। তৃতীয় উইকেটে জয়-হৃদয়ের জুটির কাছ থেকে বাংলাদেশ পায় ৬৮ রান ।
দলীয় ১০০ রানে হৃদয়ের পতনের পর দলের জয়ের পথ সহজ করে ফেলেন জয় ও পাঁচ নম্বরে নামা শাহাদাত হোসেন। চতুর্থ উইকেটে শতরানের জুটি গড়েন জয় ও শাহাদাত। এজন্য ১২৫ বল খেলেছেন জয়-শাহাদাত। আর এই জুটিতে নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জয়।
৪৩তম ওভারের পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন জয়। তবে সেঞ্চুরির পরের বলেই আউট হন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বাঁ-হাতি স্পিনার জেসি টাসকফের বলে বিদায় নেন জয়। ১৩টি চারে ১২৭ বলে ১০০ রান করেন এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান।
দলীয় ২০১ রানে আউট হন জয়। তখন জয় থেকে মাত্র ১১ রান দূরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। বল ছিলো ৪২টি। শামিমকে নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেন শাহাদাত। ৫১ বলে ৪টি চারে অপরাজিত ৪০ রান করেন শাহাদাত। ২ বলে ৫ রানে অপরাজিত থাকেন শামিম। ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের জয়।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা