অনলাইন ডেস্ক
শুক্রবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটের বীণাস্মৃতি স্নানঘাটে শাহজাহানপুর বাংলাদেশ রেলওয়ে পূজা কমিটির প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা।
ভক্তরা বিষাদ ভুলে হাসিমুখে দেবী মাকে বিদায় জানাতে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। বিসর্জনের আগপর্যন্ত তারা একে-অন্যকে সিঁদুরে রাঙান, নাচ-গান করেন, যেন সারা বছর এমন আনন্দে কাটে।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ধর্মদাস চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, মহিষাসুর বধ করার মধ্য দিয়ে শুক্রবার বিজয়ী হয়েছেন দুর্গা মা। সে কারণেই আমাদের আনন্দের দিন, আমরা উৎসব করি। জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সবাইকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাই।
মহামারি পরিস্থিতিতে এবারও কোনো সিঁদুর খেলার আয়োজন রাখা হয়নি। তবে প্রতিমা ঘাটে নিয়ে আসার পর শেষবারের মতো ধূপধুনো নিয়ে আরতিতে মেতে ওঠেন ভক্তকুল। সবশেষে পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের মধ্যদিয়ে মা দুর্গা ও তার সন্তান কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীকে নৌকায় তুলে বিসর্জন দেওয়া হয়। বিসর্জনের সময় ‘দুর্গা মা কী, জয়’, ‘আসছে বছর আবার হবে’ বলে ধ্বনি দেওয়া হয়। ভক্তরা ঢাকের শব্দের সঙ্গে কাসার ঘণ্টা বাজিয়ে নৌকাযোগে প্রতিমাগুলো নদীতে বিসর্জন দেয়।রাজধানীর বেশির ভাগ মণ্ডপের প্রতিমা
বিসর্জন হয় সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে। ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের কমিশনারের উপকমিশনার জসিম উদ্দীন মোল্লা বলেন, প্রতিমা বিসর্জন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি নৌ-পুলিশ ও র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা