সমাজের মানুষ হিসেবে প্রত্যেকেরই দায়িত্ব প্রতিবন্ধীদের উন্মুক্ত অবারিত ভবিষ্যত নিশ্চিত করা। এ জন্য সকলের মাঝে চেতনার উন্মেষ ঘটাতে হবে।
বুধবার ( ৪ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আলোচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া একথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
উপাচার্য বলেন, প্রতিবন্ধীরা যাতে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলসহ সর্বত্র উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা পায় তা নিশ্চত করতে রাষ্ট্রের সকল নাগরিককে সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
পরে উপাচার্য প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন। এরপর একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিশ্চিত করতে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। প্রতিবন্ধীরা যাতে তাঁদের ন্যায্য অধিকার ভোগ করতে পারেন সে জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার বলেন, বাংলাদেশের মহান সংবিধানে প্রতিবন্ধীদের অধিকারের কথা বলা আছে। প্রতিবন্ধীবান্ধব দেশ গড়তে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, প্রতিবন্ধিতা অক্ষমতা নয়। প্রতিবন্ধিতার শিকার মানুষদের অধিকার বাস্তবায়নে সস্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ তসলিম উদ্দিন বলেন, প্রতিবন্ধীদের সমাজের সর্বত্র অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
আলোচনা সভায় আরো বলা হয়, আমরা সকলে একত্রে আগত ভবিষ্যৎ এর দিকে তাকিয়ে আছি যেখানে কোনো ধরণের কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। আমরা মনে করি যে, প্রতিবন্ধি ব্যক্তির বাড়িতে, জনসাধারণে কিংবা গাড়িতে চলাচলে কোনো বাধা থাকবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে-শ্রেণী কক্ষ চাকুরীস্থল অথবা সমাজের সর্বত্র থাকবে না কোনও ভেদাভেদ। উম্মুক্ত অবারিত ভবিষ্যতের দায়িত্ব সকলেরই। কোনো স্বাস্থ্যগত প্রতিবন্ধকতাই আমাদের এই অবারিত ভবিষ্যতের পথে বাধা হতে পারে না।
তিনি বলেন, সকলে মিলে আমরা একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে পঙ্গুত্ব নির্ণয়, চিকিৎসা প্রদান ও সার্টিফিকেট প্রত্যয়ন প্রক্রিয়ায় যথাযথ ফিজিক্যাল রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিন ফিজিশিয়ানকে অন্তর্ভুক্ত করা সময়েরই দাবী।
এছাড়াও ডিজাবিলিটি ব্যারিয়ার্স: রোল অফ রিহ্যাবিলিটেশন ফিজিশিয়ান্স শীর্ষক বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের আয়োজন করা হয়।
এতে, সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. মোঃ মাঈনুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ তসলিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. এ কে এম সালেক। সঞ্চালনা করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ আলী ইমরান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অধ্যাপক ডা. শামসুন নাহার।
উক্ত অনুষ্ঠানসমূহে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগে. জেনারেল ডা. এ কে মাহবুবুল হক, ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মশিউর রহমান খসরু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এবারে প্রতিপাদ্য বিষয় হলো অবারিত হোক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ভবিষ্যৎ (The Future is Accessible).
আরও পড়ুন : ডেঙ্গু সারাবছর থাকবে এটাই এখন বাস্তবতা : মহাপরিচালক
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা