করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো সব পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তৈরি পোশাক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ কারখানা বন্ধ রাখতে সদস্যদের অনুরোধ করেছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সংগঠনের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এতে সাড়া দিয়ে মালিকরা নিজ নিজ কারাখানায় ছুটি ঘোষণা করেছেন।
এর আগের দিন আরেক সংগঠন বিকেএমইএও একইভাবে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠায়। এর ফলে দেশের সব পোশাক কারখানা আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে মাস্ক এবং পিপিপি তৈরির কাজ করছে এরকম কারখানাগুলো খোলা থাকবে।
কারখানা কতদিনের জন্য ছুটি থাকবে তার দিকনির্দেশনা সংগঠনগুলোর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
মালিকরা জানিয়েছেন, শিগগিরই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শ্রম আইনের ১৬ ধারা অনুযায়ী বন্ধের দিকে যেতে পারেন তারা। শ্রম আইনের ১৬ ধারা অনুযায়ী, যে কোন মহামারী পরিস্থিতিতে কারকানা বন্ধ রাখা যায়।
সেক্ষেত্রে বন্ধ থাকার সময়টি শ্রমিকদের মূল বেতনের অর্ধেক ও বাড়ি ভাড়া ভাতার অর্থ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি আরশাদ জামাল দিপু।
তিনি বলেন, যেকোন মূল্যে চলতি মাসের বেতন দিতে হবে। যতো সমস্যাই থাকুক, এটি নিয়ে কেউ অবহেলা করবে বলে মনে হয় না।
নিজের উদাহরণ দিয়ে আরশাদ জামাল দিপু বলেন, তার কারখানায় বর্তমানে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কিছু ক্রেতার কাজ চলছে। অন্যদিকে কাটিংয়ে থাকা ফেব্রিকও এভাবে ফেলে রাখা যাবে না। সে পর্যন্ত তার কারখানাটি চালু রাখতে হবে।
তবে তিনি বলেন, যারা এই সময়টিতে চালু রাখবে, শ্রমিকের পূর্ণ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনেই চালু রাখতে হবে। বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, যেসব কারখানা চালু রাখবে, যথাযথ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মেনেই চালু রাখতে হবে।
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা