আপনি কি উচ্চ-শিক্ষিত অনুপ্রাণিত শিক্ষাবিদ বা পেশাজীবী ? আপনি কি যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা বা বক্তৃতা দানে আগ্রহী? তাহলে আপনাকেই খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ঢাকাস্থ দূতাবাস সেই তথ্যই জানিয়েছে।
দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ২০২০ ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার প্রোগ্রামের জন্য আবেদনপত্র গ্রহণ করছে । এর আওতায় অভিজ্ঞ বাংলাদেশি পেশাজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত গবেষকদের (দশ বছর বা তার বেশি পেশাগত অভিজ্ঞতার ) যুক্তরাষ্ট্রে ছয় থেকে নয় মাস গবেষণা করার জন্য অনুদান দেওয়া হয় । নির্বাচিত প্রার্থীদের লেকচার দেওয়ারও সুযোগ হতে পারে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এটি শুরু হবে। ফুলব্রাইট প্রোগ্রামে এক-দুই-সেমিস্টার বক্তৃতার জন্যও অনুদান পাওয়া যায়। তেমনই রয়েছে শিক্ষাবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি তিনমাসের অনুদান।
প্রয়োজন যাচাই বা প্রাতিষ্ঠানিক বা কর্মসূচি গড়ে তোলা সম্পর্কিত গবেষণা, ফ্যাকাল্টি গড়ে তোলার বিষয়ে মাধ্যমিক পরবর্তী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসক এবং প্রশিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ এবং একাডেমিক পাঠ্যক্রম বা শিক্ষা বিষয়ক সামগ্রীর বিকাশ বা যাচাই করার জন্য এসব অনুদান দেওয়া হয়। ২০২০ সালের শরতের প্রোগ্রামের জন্য আবেদনের শেষ তারিখ শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০১৯।
ফুলব্রাইট প্রোগ্রামের লক্ষ্য অগ্রসর পর্যায়ের ডিগ্রিধারী (পিএইচডি) অনুপ্রাণিত শিক্ষাবিদ বা সমমানের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পেশাজীবী ব্যক্তি। তারা তাদের নিজের বিশেষায়িত ক্ষেত্রে গবেষণা করা অথবা শিক্ষাদানের প্রস্তাব দেবেন। আমরা শিক্ষার সমস্ত শাখায় বিস্তৃত বিষয়ে প্রস্তাব চাইছি । এর মধ্যে বিশেষ মনোযোগ থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং পাঠ্যক্রমের বিকাশ, সামাজিকবিজ্ঞান, মানবিক, প্রাকৃতিক ও ভৌতবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, শিল্পকলা এবং ব্যবসার ওপর ।
প্রার্থীদের অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে পেশাদারভাবে কাজ করার মতো চমৎকার দক্ষতা থাকতে হবে । সম্ভাব্য আবেদনকারীকে অবশ্যই অনলাইন আবেদন পদ্ধতির মাধ্যমে আবেদন জমা দিতে হবে । অনলাইন আবেদনটি করা যাবে এই ওয়েব ঠিকানায় ।https://apply.iie.org/fvsp2020.
প্রভাষক হিসেবে অনুদান প্রত্যাশীদের শিক্ষাদানের ব্যাপক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে । বিদেশে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা বাড়তিযোগ্যতা হিসাবে বিবেচিত হবে। ফুলব্রাইট অনুদানের জন্য বিবেচিত হতে প্রার্থীদের অবশ্যই কোর্সের পাঠ্যক্রম ও জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) এবং একটি আমেরিকার প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের নিশ্চিত আমন্ত্রণপত্র জমা দিতে হবে।
স্বল্প-মেয়াদিঅনুদানেরক্ষেত্রে, আমন্ত্রণপত্র পাওয়া না গেলে প্রার্থীদের পরিকল্পিত প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত সুবিধা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এমন তিনটি প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের নামগুলো এদের বেছে নেওয়ার পক্ষে যথাযথ যুক্তিসহ পছন্দের ক্রমানুসারে উল্লেখ করতে হবে।
আরও পড়ুন : রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু: সেনাপ্রধান ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার প্রোগ্রামের অনুদান সুবিধার মধ্যে অনুদান পাওয়া প্রার্থীর সব আনুষঙ্গিক ব্যয়, একটি উপবৃত্তি এবং বাংলাদেশ/যুক্তরাষ্ট্র/বাংলাদেশ পথে বিমান টিকিটের খরচ অন্তর্ভুক্ত । অনুদানের মধ্যে একজন নির্ভরশীল ব্যক্তির ( যিনি প্রোগ্রামের অন্তত ৮০% সময় প্রার্থীর সঙ্গে থাকবেন) জন্যও একটি মাসিক ভাতা আছে ।
আবেদনকারীদের তাদের গবেষণা বা শিক্ষাদানের কাজ সমাপ্ত হলে অবিলম্বে বাংলাদেশে ফিরে আসতে হবে। অনুদানটি সফলভাবে সমাপ্ত হওয়ার পরে দেশে ফিরে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকার পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগে সাক্ষাৎ এবং তাদের গবেষণার ফলাফল লিখিতভাবে জমা দিতে হবে।
এ সংক্রান্ত ঘোষণা এবং সম্পূর্ণ নির্দেশাবলীর একটি অনুলিপি এখানে পাওয়া যাবে https://go.usa.gov/xpCQW ফুল ব্রাইট প্রোগ্রাম খুবই প্রতিযোগিতামূলক । বাছাই কমিটি লিখিত প্রস্তাবের পর খুব গুরুত্ব দেয় । এই প্রোগ্রামটি বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য এবং সম্ভাব্য আবেদনকারীদের আবেদনের সময় অবশ্যই বাংলাদেশে বসবাস করতে হবে ।
যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকারী বা নাগরিকত্বধারী কিংবা স্থায়ীভাবে বসবাসের প্রক্রিয়াধীন আবেদনকারীরা এ অনুদানের জন্য যোগ্য নন ।
আরও তথ্যের জন্য অনুগ্রহ করে সংস্কৃতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রায়হানা সুলতানার সঙ্গে SultanaR1@state.gov এই-মেইল ঠিকানায় যোগাযোগ করুন । অনলাইন আবেদন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় শনিবার, ৭ইডিসেম্বর, ২০১৯।
সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের ঢাকায় সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে।
ফেসবুক পেজ :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা