অনলাইন ডেস্ক
এই মাঠেই দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময়। সান্তোসের মায়ায় পড়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন ইউরোপের নামীদামী সব ক্লাবের লোভনীয় প্রস্তাব। পেলের ফুটবল ক্যারিয়ারের অবিচ্ছেদ্য এক অংশ ক্লাব সান্তোস। ফুটবলকে বিদায় বলার পরও যখনই এ মাঠে পা রেখেছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি; ভক্ত সমর্থকরা ভিড় জমিয়েছে।
ইতিমধ্যে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত করা হচ্ছে সান্তোসের মাঠ বেলমিরো। স্টেডিয়ামটির দর্শক গ্যালারিতে একটি ব্যানারও দেখা যাচ্ছে যেখানে লেখা আছে‘ভিভা ও রেই’ অন্য পাশে লেখা রয়েছে ‘পেলে ৮২ বছর’। ১৯৫৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথম বিশ্বকাপ জিতায় পেলের নাম দেওয়া হয়েছিলো ‘ও রেই’ এবং ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণ করা ফুটবল রাজা মৃত্যুবরণ করেন ৮২ বছর বয়সে।
সোমবার ভোরে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতাল থেকে সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরোতে নেয়া হচ্ছে। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় খুলে দেওয়া হবে স্টেডিয়ামের দরজা। এরপর তার দেহাবশেষ বহনকারী কফিনটিকে রাখা হবে মাঠের মাঝখানে। সেখানেই তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবে তার ভক্তরা। ১৬ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামটির পুরোটায় জুড়ে থাকবে তার ভক্তরা। এছাড়াও স্ট্যান্ডে তিনটি দৈত্যাকার পতাকা উড়ানো হবে। যার একটিতে থাকবে পেলের সেই বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সিটি।
মঙ্গলবার মেমোরিয়াল নেক্রোপোল ইকুমেনিকার নবম তলায় সমাহিত করা হবে তাকে। যা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু কবরস্থান। মূলত বাবার প্রতি সম্মান জানাতেই নবম তলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। পেলের বাবা ডোডিনহোও একজন ফুটবলার ছিলেন। সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলা পেলের বাবা ৯ নম্বর জার্সি পরতেন।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিতার প্রতি শ্রদ্ধার জন্য পেলে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু, উল্লম্ব কবরস্থানের নবম তলায় সমাধিস্থ করার কথা ঠিক করে গিয়েছিলেন।
অন্যদিকে পেলে ভক্তরা বিশ্বাস করেন এই বিশ্রামের জায়গাটি ঠিক করে যাওয়ার অর্থ হল; পেলে অনন্তকাল তার প্রিয় ফুটবল পিচটি দেখতে পারবেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা