অনলাইন ডেস্ক
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যসেবা খাতে চিকিৎসক, নার্স ও হেলথ টেকনোলজিস্টদের ভূমিকা যেমন অনস্বীকার্য, তেমনি ভাবেই হাসপাতালে সঠিক পদ্ধতিতে ওষুধ সংরক্ষণ, রোগীর জন্য সঠিক ওষুধ ব্যবহার সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার নজরদারি ও প্রতিরোধকরণে বিশেষভাবে দক্ষ একজন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট অপরিহার্য— সভায় এসব বিষয় তুলে ধরা হয়।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের হাসপাতাল ফার্মাসি কমিটির সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। প্রধান অতিথি ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন- স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান ও ফার্মাসি কাউন্সিলের সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান। সভায় মূল প্রবন্ধ (আন্তর্জাতিক ও জাতীয়) উপস্থাপন করেন যাথাক্রমে ড. ইউ লি চ্যাং ও মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
সভায় নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, আধুনিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ‘হসপিটাল ফার্মাসিস্ট’ ছাড়া গুণগত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া আদৌ সম্ভব নয়। গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট হাসপাতালে নিযুক্ত হলে এ দেশের হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স ও গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট তাদের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
সায়েদুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত হতে গেলে সবার আগে ফার্মাসিস্টদের মানসিকতা বদলাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যেই সরকার ৭০০ ওষুধের দোকান খোলার উদ্যোগ নিয়েছে। গরিব মানুষের জন্য উন্নত সেবা নিশ্চিতে সরকারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে ফার্মাসিস্টদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সরকার সরকারি হাসপাতালে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
বক্তারা বলেন, মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে দক্ষ চিকিৎসক ও নার্স ছাড়াও দক্ষ ফার্মাসিস্ট থাকা জরুরি। যারা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী রোগীর জন্য সঠিক ওষুধ নির্বাচন করবেন। উন্নত দেশে হাসপাতালে ফার্মাসিস্ট থাকা বাধ্যতামূলক হলেও বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালে এর প্রচলন নেই। তবে বেসরকারি খাতের বড় হাসপাতালগুলোতে এর প্রচলন আছে। যে কারণে এসব হাসপাতালে রোগীরা উন্নত সেবা পাচ্ছেন।
আলোচকরা আরও বলেন, প্রায় ১৮ কোটি মানুষের দেশে ৬৫৪টি সরকারি হাসপাতালে একসঙ্গে ৫১ হাজার ৩১৬টি মানুষের চিকিৎসার সুযোগ আছে। তবে এসব রোগীকে চিকিৎসকরা যে ব্যবস্থাপত্র দেন সে অনুযায়ী মানসম্মত ওষুধ সরবরাহে একজনও গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নেই। এতে করে ভুল মাত্রা বা মানের ওষুধ সেবনে অনেকেই দীর্ঘদিন রোগে ভুগছেন। এমনকি ওষুধের মাত্রা সঠিক না হওয়ায় সুস্থ হওয়ার বদলে রোগী মারাও যাচ্ছেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা