অনলাইন ডেস্ক
কাদের মির্জা অভিযোগ করেন, ‘সন্ত্রাসী পুলিশ আমার সাত কর্মী, বিশেষ করে মিকন ও আরো একজন ছেলেকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে। সকালের দিকে খবর পেয়ে আমি তাদের দেখতে গিয়েছি। তারা বিছানা থেকে উঠতে পারছে না। দেখে ফেরার পথে আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে অ্যাডিশনাল এসপি শামীম। আমার গায়ে হাত দিয়েছে। আমি দশবার বলেছি যে আমি ডিএস মর্যাদার। আপনি আমার গায়ের ওপর হাত দেন কেন। সে তার পরও আমার গায়ে হাত দিয়েছে। ওসি আমার মাকে নিয়েও গালিগালাজ করেছে।’
ফেসবুক লাইভে তিনি আরো অভিযোগ করেন, ‘আমি যখন বিরোধী দল করেছি, তখনো আমার ওপর, আমার কর্মীদের ওপর এত নির্যাতন হয়নি। বিরোধী দলে থাকাকালীন পুলিশ প্রশাসন আমাদের সম্মান, শ্রদ্ধা করত।’
আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কেউ আমাকে দেখতে আসেনি। আমার খোঁজ-খবর নিতে আসেনি। এ জন্যই আমি আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছি। এই আওয়ামী লীগ এখন পথহারা আওয়ামী লীগ। এই আওয়ামী লীগ এখন অপশক্তির আওয়ামী লীগ।’
এ ব্যাপারে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম আহমেদ কাদের মির্জার অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘কাদের মির্জা থানায় গিয়ে সরাসরি হাজতের সামনে চলে যান। আমি শুধু তাঁকে বলেছি যে আপনি ওসির রুমে আসেন। এ ছাড়া আর কোনো কথা হয়নি, বাড়াবাড়িও হয়নি।’
এদিকে গতকাল দুপুর ২টার দিকে দ্বিতীয়বার ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, ‘হত্যার বদলে হত্যা—এটা ছেড়ে দেওয়া হবে না।’
আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলির ঘটনায় আটক ৩: এদিকে কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নূরনবী চৌধুরীকে গুলি এবং মারধরের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন সিরাজপুর ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ফকির উদ্দিনের ছেলে আওয়মী লীগ নেতা নাজিম উদ্দিন মিকন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছায়েদুল হক মেম্বারের ছেলে যুবলীগ নেতা নূর উদ্দিন খাজা এবং কবিরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ওজি উল্যার ছেলে একরাম উদ্দিন। এঁদের মধ্যে দুজন মেয়র কাদের মির্জার অনুসারী। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল ভোরে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে কবিরহাট বাজার এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা