অনলাইন ডেস্ক
আসপিয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। পুলিশে চাকুরি এবং একইসঙ্গে জমিসহ ঘর পেয়ে উচ্ছ্বসিত আসপিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ কনষ্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় সবগুলো ধার পেরিয়ে আসার পর পিতৃহীন আসপিয়া ইসলামের স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় তার চাকরি নিয়ে তৈরি হয়েছিল জটিলতা। এতে মাসনিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। বরিশাল পুলিশ লাইন্সের গেটে হতাশ হয়ে বসে থাকা আসপিয়ার একটি ছবি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় তৈরি হয় তুমুল আলোচনা।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসে। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আসপিয়াকে জমিসহ ঘর এবং যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দেশ আসে। জেলা প্রশাসন তার জন্য হিজলায় খাস জমিতে ২ কক্ষবিশিষ্ট একটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। ঘরটি নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
এদিকে চোখের সামনে স্থায়ী ঠিকানা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মিত হতে দেখলেও চাকরির নিয়োগপত্র পাচ্ছিলেন না তিনি। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের খবর দেখে আশায় বুক বাঁধেন আসপিয়া। অপেক্ষায় থাকেন স্বপ্নের চাকরি পাবার। অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এসেছে আসপিয়ার জীবনে। গত শনিবার রাতে জেলা পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র হাতে পান আলোচিত কলেজছাত্রী আসপিয়া ইসলাম। নিয়োগপত্রে আগামী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টার মধ্যে তাকেসহ চূড়ান্ত নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সামগ্রী নিয়ে জেলা পুলিশলাইনে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকতা শেষে মহিলা টিআরসিদের ৬ মাসের প্রশিক্ষণের জন্য রংপুরে পাঠানো হবে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
স্বপ্নের চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ায় উৎফুল্ল আসপিয়া ও তার পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দেও খুশি তারা। এজন্য প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি ও তার মা ঝর্ণা বেগম।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা