রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই পদত্যাগ করেছে রুশ সরকার।
বুধবার রাতে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, সাংবিধানিক যে পরিবর্তন আনার ঘোষণা প্রেসিডেন্ট পুতিন দিয়েছেন, তা তার ক্ষমতায় থাকাকে দীর্ঘায়িত করতে পারে।
চতুর্থবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুতিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার চার বছর আগে দেশটির সরকারের ইস্তফা দেওয়ার এই অপ্রত্যাশিত ঘোষণা এলো।
সরকারের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন সংবিধানে পরিবর্তন আনার যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা রাশিয়ার ক্ষমতার ভারসাম্যে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আনবে।
প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়ার পর দিমিত্রি মেদভেদেভকে রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের উপপ্রধান হিসেবে যোগ দিতে বলেছেন পুতিন, যিনি নিজে এই কাউন্সিলের প্রধান।
বিদ্যমান সংবিধান অনুসারে পুতিন ফের আরেক মেয়াদে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চ ও নিম্ন– উভয়কক্ষের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি ইঙ্গিত দেন, সাংবিধানিক পরিবর্তন আনার জন্য দেশজুড়ে ভোট গ্রহণ করা হতে পারে, যার মাধ্যমে ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে পার্লামেন্টের অধিকারে চলে যেতে পারে।
বিবিসি জানায়, আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে সরকারের মন্ত্রীদের কেউই পদত্যাগের বিষয়ে কিছুই জানতেন না। এক সূত্র বিষয়টিকে ‘সম্পূর্ণ চমক’ বলে আখ্যায়িত করেন।
সরকারের পদত্যাগের ঘোষণায় মেদভেদেভ বলেন, যে পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলো গৃহীত হলে কেবল সংবিধানের ধারাতেই আমূল পরিবর্তন আসবে না, একই সঙ্গে ক্ষমতার ভারসাম্যে, নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতায়, আইন বিভাগের ক্ষমতায়, বিচার বিভাগের ক্ষমতায় পরিবর্তন আসবে। এ অবস্থায় বর্তমানে যে ধরনের সরকার রয়েছে তা পদত্যাগ করছে।’
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা