অনলাইন ডেস্ক
বায়োজিদ সারোয়ার জানান, রূপপুর প্রকল্পে চাকরির জন্য তাঁর মামার বাড়ির এলাকা থেকে কিছু মানুষ বাড়িতে আসবেন বলে কথা ছিল। তাই তিনি বাজারে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে স্ত্রীকে গলাকাটা অবস্থায় পেয়েছেন। তবে তিনি কাউকে দেখেননি। তাঁর মায়ের কাছ থেকে সব শুনেছেন।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বায়োজিদ সরোয়ার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বিভিন্নজনকে প্রকল্পে চাকরিও দেন। এই সুবাদে মাঝেমধ্যেই তাঁর বাড়িতে লোকজন আসেন। এরই ধারাবাহিকতায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁদের বাড়িতে কয়েকজন ব্যক্তিকে ঢুকতে দেখা যায়। এরপর থেকে আর কেউ কিছু জানতে পারেননি। কিছুক্ষণ পর সরোয়ারের মা নিলিমা খাতুনের চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে মেঝেতে গলাকাটা অবস্থায় মুক্তির লাশ দেখতে পান।
নিলিমা খাতুন বলেন, তাঁর ছেলে বায়োজিদ তখন বাজারে ছিলেন। তিনি পাশের একটি কক্ষে কোরআন শরিফ পড়ছিলেন। হঠাৎ পাঁচ যুবক চাকরির কথার জন্য তাঁদের বাড়িতে আসেন। এ সময় তাঁর পুত্রবধূ মুক্তি তাঁদের ড্রইংরুমে বসতে দিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করছিলেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই পাঁচ যুবক হন্তদন্ত হয়ে তাঁর (নিলিমা) কক্ষে ঢোকেন। তাঁকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন। দুর্বৃত্তরা সবাই মাস্ক পরা ছিলেন। তিনি চিৎকার–চেঁচামেচি শুরু করলে তাঁরা দ্রুত পালিয়ে যান। পরে তিনি নিজ ঘর থেকে বের হয়ে পুত্রবধূর গলাকাটা লাশ দেখতে পান।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা