অনলাইন ডেস্ক
মৃত ভানু নেছার নাতি শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ১০ বছর আগে স্ট্রোক করার কারণে চলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন ভানু নেছা। তিন বছর ধরে একেবারেই শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। জীবনের শেষ সময়ে এসে কথা বলার শক্তিও হারিয়ে ফেলেছিলেন। তরল খাবার ছাড়া কিছু খেতে পারতেন না ভানু নেছা।
উল্লেখ্য, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের তেঁথুলিয়া গ্রামের আব্দুল প্রামাণিকের স্ত্রী ভানু নেছা। মুক্তিযোদ্ধাদের বাঙ্কারে গোলাবারুদ সরবরাহ, সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণসহ বিভিন্নভাবে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন তিনি।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালে পাবনার সাঁথিয়ায় বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন ভানু নেছা। সে সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গোলা-বারুদ মাথায় করে মুক্তিযোদ্ধাদের বাঙ্কারে পৌঁছে দিতেন তিনি। একবার তিনি গুলিতে আহতও হয়েছিলেন।
নন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘ভানু নেছা ছিলেন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা। সাঁথিয়া স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে রণাঙ্গনে ছিলেন তিনি।’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা