অনলাইন ডেস্ক
শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত ২০২১ সালের পর থেকে নিম্নমুখী। চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা, কিন্তু আদায় হয়েছে মাত্র ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার একটু বেশি। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, বিশ্বে বাংলাদেশের ট্যাক্স জিডিপি রেশিও নিচের দিকে। অনুপাতের হার এমন জায়গায় চলে যাচ্ছে যে সেটি টেকসই না। দেশের মানুষের ভালো থাকার জন্য ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কিছু ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।
ভ্যাট-সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন পণ্যে ভ্যাটের হার বিভিন্ন হওয়ায় লিকেজ বেড়ে যায়। তাই সরলীকরণ করে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করা হয়েছে, যা লিকেজ কমাতে সহায়ক হবে। এই ভ্যাট আরোপের ফলে সামগ্রিক অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সরকারের ব্যয়ের অপচয় কমানোর প্রসঙ্গে প্রেস সচিব উদাহরণ দিয়ে বলেন, আগে বিদেশ সফরে ২৫০-৩০০ জনের বহর যেত, যা বর্তমানে ৪০-৫০ জনে সীমিত করা হয়েছে। এ ছাড়া, কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিশ্রামের জন্য ৪৫০ কোটি টাকায় সেভেন স্টার হোটেল নির্মাণের মতো অপচয় বন্ধ করতে হবে।
আইএমএফ ঋণ এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে তিনি বলেন, আইএমএফের ঋণ শুধু অর্থের জন্য নয়, এটি বাংলাদেশের ম্যাক্রো ইকোনমি স্থিতিশীল রাখার পরামর্শ দেয়। এ ছাড়া, আইএমএফের সঙ্গে সম্পর্ক বিশ্বব্যাংক, আইডিবি এবং জাপানের মতো অন্যান্য অর্থায়নকারী সংস্থার আস্থা বাড়ায়। এটা বাংলাদেশের বাইরে থেকে প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট আনার জন্য অনেক বড় ভূমিকা রাখে। রাজস্ব বাড়লে বাজার বিনিময় হার এবং সামগ্রিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে।
সরকার ভ্যাটের হার বৃদ্ধির বিষয়ে বিভিন্ন সংগঠনের দাবি ও জনগণের ওপর এর প্রভাব নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, কিছুটা প্রভাব পড়লেও এটি ন্যূনতম হবে। দীর্ঘমেয়াদে এ উদ্যোগ সাধারণ মানুষের জন্য লাভজনক হবে বলে আমরা আশা করি। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সহকারী প্রেস সচিব আশরোফা ইমদাদ, সুচিস্মিতা তিথি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা