অনলাইন ডেস্ক
অগ্নিকাণ্ডে কৃষক আছের উদ্দিন, অটোরিকশাচালক আফজাল হোসেন, রিকশাচালক গোলাম রসুল, ভ্যানচালক আনোয়ার হোসেন ও মো. রাজুর বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘরে থাকা এসব পরিবারের নগদ টাকা, গহনা, আসবাবপত্র ও খাদ্য সামগ্রী পুড়ে গেছে। দরিদ্র এই পরিবারগুলো শেষ সম্বল হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।
নাটোর ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ভুক্তভোগী পাঁচ পরিবারের দাবি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়া বলেন, দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। বাড়িগুলো ঘনঘন হওয়ায় নিমিষেই আগুন সবগুলো ঘরে ছড়িয়ে যায়। আগুনের এতো তাপ যে কেউ কাছে যেতে পারছিল না। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভ্যানচালক আনোয়ারের স্ত্রী তিথি খাতুন বলেন, রান্নাঘরের থেকে আগুন গোয়ালঘর হয়ে সব ঘরে ছড়িয়ে যায়। আমার স্বামী ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়। অনেক কষ্ট করে কিছু গহনা কিনেছিলাম। সেগুলোও আর পাচ্ছি না। ঘরে খাবার যেগুলো ছিল ওগুলোও পুড়ে গেছে। ঘরের আসবাবপত্র, কাপড়-চোপড় সব পুড়ে গেছে। কিছুই আর রইল না।
তেবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাঁচটি পরিবার আগে থেকেই হতদরিদ্র। আগুনে সব পুড়ে গিয়ে এরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেল। পরনের কাপড় ছাড়া দরিদ্র ৫ পরিবারের আর কিছুই রইল না।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান সরকারি সহায়তায় ভুক্তভোগীদের বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গিয়েছেন। তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবারসহ অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারি সহায়তায়র আওতায় আনা হবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা